“দ্রব্যমূল্য কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনো খেয়াল নাই,” বলেন তিনি।
Published : 27 Jan 2024, 05:23 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিতিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে তার যে কোনো পরিণতির ‘দায়’ সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সকালে বগুড়া হাটখোলা মাঠে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রোড মার্চ’ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘দেশের জনপ্রিয় নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করছেন, সেই নেত্রীকে আজকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে… তাকে হাসপাতালে আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে। তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করছে না। ডাক্তাররা বলেছেন যে, তাকে বাঁচাতে হলে তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দরকার, সেটা বিদেশ ছাড়া সম্ভব নয়।
“বার বার বলা হয়েছে সরকারকে। পরিবার থেকে বলা হয়েছে, আমরা বলেছি। কিন্তু তিনি শুনতে রাজি নন।”
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তা না হলে সকল দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে।”
বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসে, সেজন্য আবার ‘নতুন করে’ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “এখন এক দফা এক দাবি… পদত্যাগ করো, সংসদ বিলুপ্ত করো, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করো। আজকে সমগ্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে। আসুন জনগণকে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
“আজকের এই সমাবেশ থেকে এই বার্তা বাংলাদেশের জনগণকে দিতে চাই, আসুন জেগে উঠুন, পরাজিত করুন এদেরকে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।”
দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকায় সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “দ্রব্যমূল্য কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনো খেয়াল নাই। বলে দাম তো ফিক্সড করে দিয়েছি। দাম ফিক্সড করলে কি দাম কমানো হয়? চুরি তো করো তোমরা। চুরি করে বিদেশে পাঠায়। আর বলো দাম ফিক্সড করে দিয়েছি।”
জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের যৌথ উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১১টায় বগুড়া থেকে রাজশাহী অভিমুখে এই তারুণ্যে রোড মার্চ শুরু হয়।
রোড মার্চটি শান্তাহার, নওগাঁ হয়ে রাজশাহী গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। মোটরবাইক, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এই রোড মার্চে অংশ নিচ্ছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান সভাপতিত্বে এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি বক্তব্য রাখেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)