Published : 30 Jan 2024, 03:32 PM
অনুমতি না থাকায় বিএনপিকে রাজধানীর সাতটি স্থানে কালো পতাকা মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে উত্তরায় বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খানকে আটকের খবর পাওয়া গেলেও পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরা ১২, মিরপুর ১২, বাড্ডা লিংক রোড, পীরজঙ্গি মাজার সড়ক মোড়, নিউ মার্কেট, দয়াগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ীতে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, দুপুর ২টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বরের কবরস্থানের কাছে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচিতে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। গাড়ি থেকে নামার পরপরই পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে এবং কোনো কর্মসূচি করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে গাড়ি উঠে নিয়ে যায়।
এছাড়া আজিমপুর, পীরজঙ্গি মাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে পুলিশ আটক করে।
তবে পুলিশ মঈন খানকে আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঈন খানকে আটক করা হয়নি।”
পুলিশের বাধার অভিযোগ
বেলা ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাজার মোড়ে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
তিনি বলেন, “মিছিল-মিটিং-শোভাযাত্রা গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। আমরা যথারীতি নিয়ম মেনে পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছি, অবহিত করেছি আমরা ৭টি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে কালো পতাকার এই কর্মসূচি করব। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে সবখানে বাধা দিয়েছে। আমরা পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
“উত্তরা থেকে আমাদের দলের নেতা আবদুল মঈন খানকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করার পরে আমরা এটাই বুঝতেছি যে, অযথা আমার কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না, অযথা বাধা দেয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, আমাদেরকে কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না পুলিশ।”
গয়েশ্বর বলেন, “আজকে আমাদের নেতা-কর্মীরা এখানে এসেছে। তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করা আমাদের উদ্দেশ্য না।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পরপরই গয়েশ্বর গাড়িতে করে চলে যান।
মতিঝিল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অনুমতি না থাকায় বিএনপিকে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।”