জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ থেকে জিয়াউল হক মৃধাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের এ আদেশ কার্যকর হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা সম্প্রতি রওশন এরশাদের কাউন্সিল প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের নামে গত ৩০ অগাস্ট সংবাদ মাধ্যমগুলোর কাছে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। সেখানে আগামী ২৬ নভেম্বর দলের সম্মেলন আহ্বান করেন রওশন
নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কসহ আট সদস্যের কমিটিরও ঘোষণা আসে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ক’দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর নতুন করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে সাতজন যুগ্ম আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করেন রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ। তারা হলেন- এম এ সাত্তার, দোলোয়ার হোসেন, এস এম এম আলম, এম এ গোফরান, জিয়াউল হক মৃধা, ইকবাল হোসেন রাজু ও কাজী মামনুর রশীদ।
এই সাতজনের মধ্যে শুধু জিয়াউল হকই চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। বাকিদের কোনো পদ নেই।
এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিরোদী দলীয় প্রধান হুইপ জাপার সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের। তবে সেখানে প্রাথমিক সদস্য পদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকা জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন চেয়ারম্যান কাদেরকে না জানিয়ে হঠাৎ কাউন্সিল ডাকলে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় আলোচনা।
প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব নিয়ে ভাবি রওশনের সঙ্গে দেবর কাদেরের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছিল, পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয় দুজনের।
তারপর কাদের দলের চেয়ারম্যান হন, আর রওশন হন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা।
এদিকে গত ৩০ অগাস্ট আকস্মিকভাবে রওশনের নামে দলে কাউন্সিলর ডাকা হলে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও রওশনকে বাদ দিয়ে কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে স্পিকারকে চিঠি দেন।
আরও পড়ুন