“আমরা যে আত্মাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, কাজ করেছি, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি সেই আত্মা বিনষ্ট করে দিয়েছে,” বলেন তিনি।
Published : 24 Jan 2024, 10:39 AM
সরকার রাষ্ট্রকে ‘যন্ত্রণা ও নির্যাতনের কারখানায়’ পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা এক ঘোর অন্ধাকারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই। রাষ্ট্র এখন পুরোপুরিভাবে একটা যন্ত্রণা, অত্যাচার ও নির্যাতন-নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে।”
“একটা রাষ্ট্র তখনই সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে পারে, যখন তার তিনটা স্তম্ভই কাজ করে। যেখানে একটা স্তম্ভ পুরোটাই তারা দখল করে নিয়েছে। আমি সোজা কথায় বলি বাংলাদেশের আত্মাটাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে। আমরা যে আত্মাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, কাজ করেছি, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি সেই আত্মা বিনষ্ট করে দিয়েছে।”
বিচার বিভাগ নিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে বলছে যে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। আমি তো বলি যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে কিনা আমি তো জানি না। যারা বিচারক, এই সমাজের স্বাধীনতাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।”
এদিন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ফখরুল। তিনি বলেন, “আমি লজ্জা পাই, যখন টেলিভিশনে দেখি কয়েকজন প্রতিথযশা সম্পাদক এবং বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তারা যখন এই ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন, গণতন্ত্র হত্যার যে কর্মযজ্ঞ তাকে সমর্থন করছে। এটাই এখন হয়েছে।”
দেশে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “দেশে আছেন এমন অনেক সম্পাদক সাংবাদিকদের নিগৃহীত হতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে। এই একটু আগে একজন আমার সাথে দেখা করলেন যে, মাস খানেক আগে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল, একমাস জেলে থেকে বেরিয়েছেন। কত বলব, কার কথা বলব? অত্যাচার-নির্যাতন এমন একটা পর্যায় চলে গেছে এখান থেকে মুক্তি পেয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জামায়াতে ইসলামীর মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)