“ভিসা নীতি নিয়ে বর্তমান সরকার পরোয়া করে না,” বলেন তিনি।
Published : 17 Jan 2024, 05:32 PM
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞাকে আওয়ামী লীগ ‘পরোয়া করে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির দায় সরকারের নয় দাবি করে তিনি বলেছেন, যারা নির্বাচনে বাধা দিয়েছিল তাদের জন্য এই নীতি নেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতে জি টোয়েন্টি সম্মেলনে এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছবি তোলার প্রসঙ্গও উঠে আসে কাদেরের বক্তব্যে।
তিনি বলেন. “এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম।”
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে তিনি এবং তার পরিবার আমেরিকার ভিসা পাবে না বলে গত ২৪ মে ঘোষণা আসে। চার মাস পর শুক্রবার দেশটি জানায়, এরই মধ্যে এই নীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
এরপর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের কয়েকজনের ওপর এই নীতির প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে তাদের কারও নাম প্রকাশ করা হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভিসা নীতি নিয়ে বর্তমান সরকার পরোয়া করে না। শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসা নীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
“যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারটা বেজে গেছে, তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে। ভিসা নীতির বাস্তবায়নের বাস্তবতা দেখা যাবে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দল না পাঠানোর বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানান কাদের। বলেন, “গণতান্ত্রিক নিয়মে নির্বাচন হবে। ভোট দেবে দেশের জনগণ। এখানে কেউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেটি তাদের বিষয়। কেউ আসলে তাদের সহায়তা করা হবে।”
গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে আসুক। তবে নির্বাচনবিরোধী সব কিছু জনগণ প্রতিহত করবে।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)