“শুধু আমরাই একথা বলছি না, সারা বিশ্বের মিডিয়া দেখুন, বিভিন্ন রাষ্ট্রের যে বক্তব্য এসেছে সেগুলো দেখুন। তারা এসব কথার প্রতিধ্বনি করেছে”, বলেন তিনি।
Published : 20 Jan 2024, 04:07 PM
বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র যে মত ব্যক্ত করেছে, তাতে দেশের বিরোধীদলগুলোর কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার নাগরিক ঐক্যের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে। এটা আজকে শুধু আমরাই একথা বলছি না, সারা বিশ্বের মিডিয়া দেখুন, বিভিন্ন রাষ্ট্রের যে বক্তব্য এসেছে সেগুলো দেখুন।
“৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে প্রত্যেকে স্পষ্টভাষায়…আমরা বিরোধী গণতান্ত্রিক দলগুলো যে কথা বলে গেছি কয়েক বছর ধরে, তারা এসব কথার প্রতিধ্বনি করেছে।”
প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে ১১টায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। টেবিলে বিছানো কাপড়ে ৭ জানুয়ারির ভোটের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেন নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঈন খান বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ব্যতিরেকে অন্য কোনো পদ্ধতি কোনোদিন চলবে না।”
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “ওরা সরকারে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এটা ভোট হয়নি। এজন্য এই সইয়ের ব্যবস্থা আমরা করেছি। বাংলাদেশে ১০ কোটি ভোটার কেবল নয়, বাংলাদেশে ১৭ বা ১৮ কোটি জনগণের কাছে আমরা পৌঁছাবার চেষ্টা করব। আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে অফলাইন, অনলাইনে।”
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “পরিস্থিতিটা কী রকম? সরকার কতখানি নাজেহাল দেখেন…ডিপ্লোমেটরা তারা রাষ্ট্র-রাষ্ট্র যে সম্পর্ক…তারা যাচ্ছেন, সৌজন্য সাক্ষাত করছেন, কথাবার্তা বলছেন, কেউ কেউ ফুল দিচ্ছেন। সেটাকে সরকার তাদের প্রতি তাদের একটা রাজনৈতিক সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করে একটা প্রচারের ডামাডোল তারা তৈরি করেছেন।
“কূটনীতিকের এই ফুলটুল নিয়ে যাওয়াকে আরও পাঁচ বছরের জন্যে লাইসেন্স হিসেবে যদি বিবেচনা করেন, বড় ধরনের ভুল করা হবে।”
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।