বিএনপি করলে এখন নির্বাচন করা যায় না: তথ্যমন্ত্রী

“বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকে- যদি কিছু হয়,” বলেন তিনি।

ভোট বর্জনে থাকা বিএনপির অনেকেই দলটি ছেড়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, “বিএনপির মূল নেতৃত্ব কার্যত তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক কারাগারের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে, যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।

“এর কারণ বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে, যার সাথে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নাই।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন। আজকে (বৃহস্পতিবার) অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

“বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারা অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করে যে, আসলে এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

হাছান মাহমুদের ভাষ্য, বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকে- যদি কিছু হয়। এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারে না।

জনগণ সাড়া না দিলেও বিএনপি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সিদ্ধান্তের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ একমত নয়। নির্বাচনি আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সমস্ত কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারা একটি হাস্যকর দলে রূপান্তরিত হয়েছে।”

বিএনপি অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে বলেও আশা করেন তথ্যমন্ত্রী।

পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার কারও এজেন্ট কি না, এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “তিনি কার এজেন্ট আমি জানি না, আপনারা খুঁজে বের করুন।

“তবে এক বছরে যতোবার তিনি বিদেশ গেছেন এবং বিদেশ যাত্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তা থেকে প্রশ্ন আসে একজন শ্রমিক নেতার এত টাকা কোথা থেকে আসে, এতোবার বিদেশ যাত্রারই বা কেন প্রয়োজন।”