শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সফলতার সঙ্গে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমি দেশকে (আমূল) বদলে দিয়েছি। সবাই এটিকে (এই সাফল্য) ইতিবাচকভাবে দেখবে না।”
Published : 10 Nov 2023, 07:37 PM
হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচিতে গাড়িতে আগুনের ঘটনায় কারা লাভবান হয় সে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সাধারণ মানুষ এসব ঘটনার শিকার হচ্ছেন।”
শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান গ্রহণের সময় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঘুমন্ত কর্মীকে গাড়ির ভেতরে রেখেও বাসে আগুন দেওয়া হয়।…আমি জানি না কেন এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।…আমি জানি না এসব থেকে কে কতটা লাভবান হয়।”
বাংলাদেশে বিরোধী দলের আন্দোলনে নানা সময় গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল অবরোধেও এটি নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মতো এবারও পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হচ্ছে, এরই মধ্যে একজন পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আরও একজন।
ফায়ার সার্ভিস এই কয় দিনে ১১০টির বেশি গাড়িতে আগুন লাগার তথ্য জানিয়েছে গণমাধ্যমকে।
এসব ঘটনায় সরকার ও বিরোধী পক্ষ এক দশক ধরে কেবল একে অন্যকে দোষারোপ করে গেছে। সরকার পক্ষের মন্তব্য হলো, বিরোধী পক্ষ সাধারণ মানুষের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালিয়েছে, বিরোধী পক্ষের দাবি, তাদের আন্দোলনের বদনাম করতে সরকারই এজেন্সি দিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।
২০১৩ ও ২০১৫ সালের প্রতিটি ঘটনায় মামলা হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে দায়ীদের চিহ্নিত করা যায়নি, নিশ্চিত করা যায়নি সাজাও। এবারও মামলা হচ্ছে, আটক হচ্ছে বহুজন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তার সরকারের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি একজন নারী হয়েও টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশ পরিচালনা করছি। আমি সফলতার সঙ্গে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছি।
“আমি দেশকে (আমূল) বদলে দিয়েছি। সবাই এটিকে (এই সাফল্য) ইতিবাচকভাবে দেখবে না। …তবে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি সবার কাছে দৃশ্যমান হওয়ায় সবাই এখন বাংলাদেশকে সম্মান করে।”
বাংলাদেশ ১৫ বছর আগে যা ছিল তার থেকে ‘বদলে গেছে’ দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের অগ্রগতি সবার চোখে পড়ার মতো।”
দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, “যাতে ভবিষ্যতে দেশের অগ্রগতির ধারা বজায় থাকে।”
অনুষ্ঠানে আসন্ন শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য অনুদান হিসেবে কম্বল ও অন্যান্য গরম কাপড় গ্রহণ করেন।
অনুদান দেওয়ার উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বজায় রাখা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি রোধ করা এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে বিএবির কাছে সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।