পল্লবীতে সংঘাত: আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2022, 10:03 AM
Updated : 20 Sept 2022, 10:03 AM

ঢাকায় পল্লবীতে বিএনপির সমাবেশে হামলার অভিযোগে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ ২০ জনের নামে মামলার আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। 

ফারুকী ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। মামলার আবেদনে তিনি অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচশ জনকে আসামি করার কথা বলেছেন। 

বিচারক তোফাজ্জল হোসাইন বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমানে রেখেছেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী কালাম খান জানিয়েছেন। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নিখিলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।“ 

গত ১৫ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পল্লবী ৬ নম্বর বাজারের পশ্চিমপাশে মুকুল ফৌজ মাঠে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি।

অন্যদিকে সদ্য প্রয়াত নেতা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণে পল্লবী ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের ঈদগাহ মাঠে শোক সভার আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। দুই দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়ার সময় সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।ওই ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। 

ওমর ফারুকের করা মামলার আর্জিতে বলা হয়, সেদিন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশে ‘আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত আক্রমণ’ করে।

“সমাবেশে আক্রমণ করে শান্তিপূর্ণ সভাকে পণ্ড করে এবং বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা উত্তরের নেতাকর্মীদের মারাত্মক আহত ও জখম করে এবং হত্যার চেষ্টা কর হয়। সেখানে নেতাকর্মীদের মধ্যে জসিম, রনি, নয়নসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে তারা ধারালো অস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাড়া আঘাত করে। মারাত্মক জখম করে এবং হত্যার চেষ্টা করে।“ 

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে যুবলীগ নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে আসছে। মিরপুরের ঘটনার সময় যেখানে আমাদের উপস্থিতিই ছিল না, হামলার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে। যারা মিথ্যার রাজনীতি করে, তারা এমন মিথ্যা মামলা করতেই পারে।“ 

মামলা হলে আইনি পথেই মোকাবেলা করা হবে বলে জানান যুবলীগের এই নেতা। 

Also Read: পল্লবীতে সংঘাত: সোয়া দুইশজনকে আসামি করে মামলা

Also Read: আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্র পল্লবী