বিএনপির খুনের রাজনীতি চলছেই: ওবায়দুল কাদের

“তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2023, 03:03 PM
Updated : 22 May 2023, 03:03 PM

ক্ষমতায় না থাকলেও বিএনপির খুনের রাজনীতি থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেছেন, “ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল, তাদের খুনি চরিত্র বারবার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ অগাস্টের মতো নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, বিরোধীদলে থেকেও তারা খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। 

“বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২১ বার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও লালন-পালনকারী বিএনপিকে এদেশের জনগণ আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ অচিরেই গণবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাসনে পাঠাবে।”

সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক পন্থায় অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায় বলেই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। 

“প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের তথাকথিত ভোট ব্যাংক নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পথে ক্ষমতাদখলের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সেই সাথে ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বিএনপি এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও ভয় পায়।” 

আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে সমন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রায় অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজপোর্টালের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ; ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতপ্রকাশের মুক্ত-বাতায়ন উন্মোচনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। 

“গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টকশো এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষোদগার করে চলেছে।” 

শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টায় দেশে প্রথমবারের মতো সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 

“সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” 

এ দেশের রাজনীতিতে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিএনপির কোনো অবদান নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, “তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। সে কারণে বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। 

“বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগণ আবারও বিপুল ভোটে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার সুযোগ প্রদান করবে।”