“আমরা বলতে চাই, এখনও সময় আছে, এই সরকারের বোধদয় হোক, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক,” বলেন তিনি।
Published : 28 Jan 2024, 11:04 AM
সংসদে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যের জবাবে গত দুটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গতকালও বলেছেন যে, তিনি অবাক হচ্ছেন, নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে কেন, প্রশ্ন হচ্ছে কেন? আমরা তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি।
“বাংলাদেশের সব মানুষ জানে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন হয় না, ভোট হয় না, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। দুই দুইটা নির্বাচন উনাদের অধীনে হয়েছে… একটা ১৪-তে আরেকটা ’১৮-তে। কী হয়েছে তা মানুষ দেখেছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২৪তম অধিবেশনের সমাপনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এর চেয়ে ভালো নির্বাচন এদেশে কবে হয়েছে? কোনো দেশে হয়েছে? অনেকে দেশের নির্বাচন তো এখনো বিরোধী দল মেনে নেয়নি। দেশ যখন সুষ্ঠভাবে এগুচ্ছে তখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন কেন?”
এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কেন? আপনি একটু দয়া করে সাধারণ মানুষগুলোকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। সেটা তো আপনি করবেন না। আপনারা সব সময় মানুষকে বোকা বানানোর জন্য যা খুশি বলতে থাকেন। আর আপনাদের বংশবদ মিডিয়ার একটা গ্রুপ আছে, তারা ওটা (প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য) প্রচার করতে থাকে সারাদিন ধরে।
“আমরা বলতে চাই, এখনও সময় আছে, এই সরকারের বোধদয় হোক, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তারা সমস্ত প্রতিহিংসা, অহংকার এসব বাদ দিয়ে জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা, জনগণের অধিকারের কথা চিন্তা করে সত্যিকার অর্থে তারা (জনগণ) যেন ভোট দিয়ে তাদের সংসদ নির্বাচন করতে পারে, তাদের সরকার গঠন করতে পারে, সেই ব্যবস্থাটা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা আর রক্ষা করা যাবে না, এটা একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”
ফখরুল বলেন, “সামনে নির্বাচন আসছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে, এই নির্বাচনে তখনই যাওয়া সম্ভব হবে যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। আমরা অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে সেই নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু হতে পারে না। সেই কারণে আমরা সকল রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে এক দফা দিয়েছি যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, নির্বাচনের পূর্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে, সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে।”
বিএনপির আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে বলে জানান দলের মহাসচিব।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)