আগুন সন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগই: ফখরুল

সরকার আন্দোলনের গতি দেখে ভীত, বললেন বিএনপি মহাসচিব।

আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুনদিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ যে বিএনপিকে দায়ী করছে, সে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাল্টা ক্ষমতাসীনদেরই দায়ী করছেন।

২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাবে বুধবার ফখরুল পাল্টা বক্তব্য দেন।

সমমনা তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই চলমান আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে এবং তার যে গতি প্রতিদিন বাড়ছে, এটাতে ভীত হয়ে তারা (ক্ষমতাসীনরা) আগের যে বিষয়গুলো সেই বিষয়গুলোকে নিয়ে আসছে।

“দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেটা সত্য কথা সেটা হচ্ছে, এই যে অগ্নি সন্ত্রাসের মূল হোতা কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই। সে সময়ে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের লোকেরাই এর (অগ্নি সন্ত্রাস) সঙ্গে জড়িত। বাসের (অগ্নিসংযোগ) ব্যাপারটা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। যেটা দেখা গেলো যে, বাসের মালিক হচ্ছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির প্রধান এবং চৌদ্দগ্রামে যেটা ঘটেছিলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করে যে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে, সব কিছুর মূলে দেখা যায় যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত।”

বিএনপি কোনো সন্ত্রাসের সাথে জড়িত নয় দাবি করে দলের মহাসচিব বলেন, “আমরা (বিএনপি) একটা মুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আমরা নির্বাচন করা দল। কখনোই অগ্নি সন্ত্রাস বা সন্ত্রাস করে আমরা ক্ষমতায় যাইনি অতীতে, এখনো যেতে চাই না।”

বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে সরকার ‘অপপ্রচার’ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

‘কোনো ছাড় দেয়া হবে না’ সরকারের মন্ত্রীদের এরকম বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, “ছাড় কেউ কাউকে দেয় না তো, দাবি আদায় করে নিতে হয়।”

“আর উনারা যে বডি ল্যাংগুয়েজে কথা বলছেন- ওটা থাকে না। শেষ পর্যন্ত এই ধরনের ফ্যাসিস্ট সরকারের দেখা যায় যে তাসের ঘরের মতো সমস্ত পড়ে যায়। এরশাদের একই ধরনের কথাবার্তা ছিল, বডি ল্যাংগুয়েজ ছিল, ৬ তারিখে কিন্তু ধপাস।”

মাইনরিটি জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ ও সাম্যবাদী দলের সঙ্গে বুধবার সংলাপে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।