Published : 22 Oct 2024, 10:37 AM
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার এক ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার এসআই আব্দুল হামিদ মঙ্গলবার এই রিমান্ড আবেদন জমা দিয়েছেন। সুমনকে হাজির করার পর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
৫ অগাস্টের আগে-পরে যে কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীর দেশ ছাড়ার খবর বেরিয়েছিল, তার মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের নামও ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সরকার পতনের প্রায় আড়াই মাস পর সোমবার গভীর রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ।
তার আগে রাতে এক ফেইসবুকে পোস্টে তিনি লেখেন, "আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।"
তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে পুলিশ বলেছে, মামলার ঘটনায় ‘গোপনে ও প্রকাশ্যে’ যে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে, তাতে সুমনের ‘জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ’ পাওয়া যাচ্ছে।
“ব্যারিস্টার সুমন এ মামলার ৩ নম্বর আসামি। তিনি একজন ব্যারিষ্টার বিধায় জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে প্রশ্নের উত্তর কলা-কৌশলে এড়িয়ে যায়। তিনি তার সংসদীয় আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগের একজন উদীয়মান নেতা এবং আওয়ামী লীগ সহ তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীগণ উক্ত আসামীর নির্দেশনা অনুসরণ করে থাকে।”
এ মামলার বাদী হৃদয় মিয়া মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ হোটেলের সহকারী বাবুর্চি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ১৯ জুলাই তিনি গুলিতে আহন হন। সরকার পতনের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তিনি এই হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন মিরপুর-১০ নম্বর গোলচক্করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ‘ক্যাডাররা’ লোহার রড, হাসুয়া, পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাস্তিপূর্ণ সমাবেশে বেপরোয়া আক্রমণ শুরু করে।
“আসামিরা অস্ত্র দ্বারা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। বাদীর ডান পায়ের হাঁটুর উপরের বাটি গুলি লেগে দুই ভাগ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন বাদীকে জাতীয় অর্থপেডিক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাদীর ডান পায়ের হাঁটুর ভেতরে গুলি থাকা অবস্থায় ১৩টি সেলাই করে পা বেঁধে দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
“বাড়িতে গিয়ে বাদীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে ৩ অগাস্ট আবার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং তখন তার বুলেটটি বের করা হয়।”
পুরনো খবর