মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাসদের ৯০ প্রার্থী

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটির ১২ জন প্রার্থী ছিলেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ১৮১ আসনে প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত দলটির অর্ধেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯০ জনের প্রার্থী হওয়ার তথ্য দিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের এ শরিক।

জাসদের প্রার্থীরা হলেন- পঞ্চগড়-১ আসনে ফারুক আহম্মদ, দিনাজপুর-৪ আসনে লিয়াকত আলী, দিনাজপুর-৬ আসনে শাহ আলম বিশ্বাস, নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, নীলফামারী-৪ আসনে আজিজুল হক, লালমনিরহাট-১ আসনে হাবিব মো. ফারুক, লালমনিরহাট-৩ আসনে আজমুল হক পুতুল, রংপুর-৩ আসনে সাহীদুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, গাইবান্ধা-২ আসনে গোলাম মারুফ মনা, গাইবান্ধা-৩ আসনে এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদী, জয়পুরহাট-১ আসনে আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন, জয়পুরহাট-২ আসনে আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন, বগুড়া-১ আসনে হাসান আকবর আফজল হারুন, বগুড়া-৩ আসনে আব্দুল মালেক সরকার, বগুড়া-৪ আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৫ আসনে রাসেল মাহমুদ, বগুড়া-৬ আসনে এমদাদুল হক ইমদাদ, বগুড়া-৭ আসনে আব্দুর রাজ্জাক, নওগাঁ-৫ আসনে এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ, রাজশাহী-২ আসনে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী-৬ আসনে জুলফিকার মান্নান জামী, নাটোর-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সাইফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে মোস্তফা কামাল বকুল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মোজাম্মেল হক, পাবনা-১ আসনে শেখ আনিসুজ্জামান, পাবনা-২ আসনে পারভীন খাতুন, পাবনা-৪ আসনে আব্দুল খালেক, কুষ্টিয়া-১ আসনে শরিফুল কবির স্বপন, কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-৩ আসনে গোলাম মোহসীন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে দেওয়ান মো. ইয়াছিন উল্লাহ, ঝিনাইদহ-২ আসনে ফজলুল করিম গামা, বাগেরহাট-৩ আসনে শেখ নুরুজ্জামান মাসুম, সাতক্ষীরা-১ আসনে শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, পটুয়াখালী-১ আসনে কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া (চুন্নু), পটুয়াখালী-৪ আসনে বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, ভোলা-১ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল-৬ আসনে মোহসীন, পিরোজপুর-১ আসনে সাইদুল ইসলাম ডালিম, টাঙ্গাইল-৪ আসনে এস এম আবু মোস্তফা, টাঙ্গাইল-৭ আসনে মঞ্জুর রহমান মজনু, শেরপুর-২ আসনে লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া, ময়মনসিংহ-২ আসনে শিব্বির আহমেদ লিটন, ময়মনসিংহ-৪ আসনে নজরুল ইসলাম চুন্নু, ময়মনসিংহ-৫ আসনে শামসুল আলম খান, ময়মনসিংহ-৬ আসনে সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ময়মনসিংহ-৭ আসনে রতন সরকার, ময়মনসিংহ-৯ আসনে গিয়াস উদ্দিন, ময়মনসিংহ-১১ আসনে সাদিক হোসেন, নেত্রকোণা-৪ আসনে মসফিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ-১ আসনে আফজাল হোসেন খান জকি, মানিকগঞ্জ-২ আসনে রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরী, ঢাকা-৭ আসনে হাজী ইদ্রিস ব্যাপারি, ঢাকা-৯ আসনে নিলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী), ঢাকা-১৪ আসনে আবু মো. হানিফ, ঢাকা-১৫ আসনে মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, গাজীপুর-৩ আসনে জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, গাজীপুর-৫ আসনে মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম আকন্দ (লিটন), নরসিংদী-২ আসনে জায়েদুল কবীর, নরসিংদী-৫ আসনে মাহফুজুর রহমান (রাহাত), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সৈয়দ হোসেন, রাজবাড়ী-২ আসনে আব্দুল মতিন মিয়া, গোপালগঞ্জ-২ আসনে ফুলমিয়া মোল্লা, শরীয়তপুর-২ আসনে ফিরোজ মিয়া (ফিরোজ শাহী), সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আবু তাহের মো. রুহুল আমিন (তুহীন), মৌলভীবাজার-২ আসনে বদরুল হোসেন ইকবাল, মৌলভীবাজার-৩ আসনে আব্দুল মোসাব্বির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আব্দুর রহমান খান (ওমর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আখতার হোসেন সাঈদ, কুমিল্লা-১ আসনে ধীমন বড়ুয়া, কুমিল্লা-৪ আসনে মামুনুর রশিদ, কুমিল্লা-৯ আসনে মনিরুল আনোয়ার, চাঁদপুর-১ আসনে সাইফুল ইসলাম সোহেল, চাঁদপুর-২ আসনে হাছান আলী সিকদার, চাঁদপুর-৫ আসনে মনির হোসেন মজুমদার, ফেনী-১ আসনে শিরীন আখতার, নোয়াখালী-১ আসনে হারুন অর রশীদ সুমন, নোয়াখালী-২ আসনে নইমুল আহসান জুয়েল, নোয়াখালী-৪ আসনে এস এম রহিম উল্যাহ, নোয়াখালী-৫ আসনে মোহাম্মদ মোকসুদের রহমান মানিক, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আমির হোসেন মোল্লা, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশারেফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ আসনে নুরুল আখতার, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে কামাল মোস্তফা চৌধুরী এবং নোয়াখালী-৩ আসনে জয়নাল আবদীন (মানিক সরকার)।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর ইসিতে চিঠি দিয়ে জাসদ এবং ১৪ দল মনোনীত অভিন্ন প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের জন্য সংরক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

১৮১ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত জাসদের

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ (১) (এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে জোট গঠন করা হলে, তার মধ্যে থেকে যে কোনো একটি দলের প্রতীক জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের বরাদ্দ করা যাবে।

জাসদের প্রতীক মশাল। আরপিও’র বিধান অনুযায়ী জোটবদ্ধ হলে আওয়ামী লীগের সম্মতিতে জাসদ প্রার্থীদের কেউ কেউ চাইলে নৌকা প্রতীকও ব্যবহার করতে পারবেন।

সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী ছিলেন ১২ জন; এর মধ্যে ৯ জন মশাল প্রতীকে এবং বাকি তিন জন জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে ভোট করেন।

জাসদ সভাপতি হাসানুল ইনু নিজেও কুষ্টিয়া-২ আসন জোটগতভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট করে জিতে আসেন।