দেড় মাস ঢাকায় কাটিয়ে লন্ডনের পথে কোকোর স্ত্রী

কোকোর মৃত্যুর পর দুই মেয়েকে নিয়ে এখন লন্ডনে থাকেন তার স্ত্রী। গত কয়েক বছর ধরেই কোকোর পরিবার ঢাকায় আসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করতে।

কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ঢাকায় এসেছিলেন মার্চ মাসে। ফাইল ছবি

ঢাকায় মা ও শাশুড়ির সঙ্গে প্রায় দেড় মাস কাটিয়ে ঢাকা ছাড়লেন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ত্যাগ করেন তিনি।

সকাল ৯টার দিকে সিঁথি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসার নিরাপত্তা কর্মীরা।

গত ২১ মার্চ নিজের অসুস্থ মা মোখলেমা রেজা এবং শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকায় আসেন কোকোর স্ত্রী। ঢাকায় এসে তিনি প্রথমে ওঠেন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য়। পরদিন যান মাকে দেখতে বনানীর বাসায়।

ঈদের কয়েকদিন আগে লন্ডন থেকে সিঁথির দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও ঢাকায় আসেন। তারাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে আবার লন্ডন ফিরে গেছেন।

গত ২৯ এপ্রিল খালেদা জিয়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তির সময় শাশুড়ির সাথে ছিলেন শর্মিলা। গত ৪ মে ফিরোজায় ফেরার পর সময়েও খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন তিনি।

আরাফাত রহমান কোকো সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তারের পরের বছর ২০০৮ সালে ১৭ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। পরে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বসবাস করছিলেন।

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া জাতীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানেই মারা যান তিনি।

কোকোর মৃত্যুর পর দুই মেয়েকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করতে থাকেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানও সপরিবারে বসবাস করছেন সেখানে।

গত কয়েক বছর ধরেই কোকোর পরিবার ঢাকায় আসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করতে।