সালাহ উদ্দিনের সন্ধান চেয়ে হাই কোর্টে স্ত্রীর আবেদন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশীর উল্লাহ জানিয়েছেন।

আবেদনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়েছেন তার স্ত্রী।

মঙ্গলবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযাগ করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি স্বীকার করেনি।

হাসিনা আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি (মঙ্গলবার) রাতে প্রথমে গুলশান থানা এবং পরে উত্তরা থানায় আমার স্বামীর সন্ধান চেয়ে জিডি করতে গিয়েছিলাম। কোথাও আমার জিডি গ্রহণ করা হয়নি। থানার কর্মকর্তারা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে গ্রহণ করেনি।”

যে বাড়িতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন সেই বাড়ির নম্বরসহ মালিকের নাম-ঠিকানাসহ অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন বলে জানান তার স্ত্রী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন ভদ্র মহিলা একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ সাক্ষীর ব্যাপারে তার সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তবে সহযোগিতা না করে তিনি চলে যান।”

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন।

রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালাহ উদ্দিনের নামে হরতালসহ নানা কর্মসূচির বিবৃতি গণমাধ্যমে আসছিল। তবে নিজের অবস্থান প্রকাশ করছিলেন না এই রাজনীতিক।

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্মমহাসচিব রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুখপাত্রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সালাহ উদ্দিন। সেবারও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন ‘আটক’

রিজভী না থাকায় দৃশ্যপটে আবার সালাহউদ্দিন