বুধবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ জিডি হয়েছে।
‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ এর এই দুই নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাদী হয়ে মামলার আবেদন করলে পুলিশ সেটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করে।
পাশাপাশি জিডি করা হয়েছে যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও।
শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়টি রাজনৈতিক ও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে এটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করে সাইবার ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছি।
মামলার আবেদনে আল মামুন উল্লেখ করেন, "গত ১৫ অক্টোবর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমীর পূজা উৎসবে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ নামক জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের স্থানীয় কতিপয় নেতা বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে নুরুল হক নূর ও রেজা কিবরিয়ার নির্দেশে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা চালায়। যাদের কেউ কেউ পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়।“
এজহারের আবেদনে দাবি করা হয়, “গতকাল (মঙ্গলবার) পল্টন জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতের সঙ্গে জোট করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা দেশের প্রচলিত আইন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
“এছাড়া নূরুল হক নূর চট্টগ্রামের জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের নিরপরাধ বলে বক্তব্য দিয়েছেন, যা সাম্প্রদায়িক হামলাকে উস্কে দেওয়ার শামিল।“
আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়, "উক্ত ঘটনার পরপরই এবং অতীতে বিভিন্ন সময়ে যুব অধিকার পরিষের যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান ফেইসবুকে লাইভ করে উক্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলে যে, তা ২০২০ সালের সিসিটিভি ফুটেজ।“
একই সঙ্গে এ ঘটনার আগে ও পরে লাইভ করে ভারতকে ‘চিটিংবাজ’ দেশ এবং দেশটির আদর্শ ও নীতি নেই মন্তব্য করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে আবদনে অভিযোগ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, “এরূপ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের মধ্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে ও উস্কানি দিয়ে কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মন্দিরে হামলায় বিএনপি জামায়াতের কর্মীদের উসকে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।“
গত মঙ্গলবার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াকে আহ্ববায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে সদস্য সচিব করে গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, "বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালের হিন্দু সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলা, ভাংচুরের নির্দেশ গোপনে নূর, রেজা কিবরিয়া ও তারেক রহমান গং এর প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও মদদে সম্পন্ন করায় এই তিন জন আসামী সাম্প্রদায়িক হামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত করেছে বিধায় মামলা রুজু করা আবশ্যক।"