তবে এরই মধ্যে দুই নির্বাচিত মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ ও শপথ হয়ে হয়ে যেতে পারে।
শনিবার অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি নির্বাচনে উত্তরে আতিক ও দক্ষিণে তাপস মেয়র পদে জয়ী হন। তারা দুজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নবনির্বাচিতদের নাম, ঠিকানাসহ ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ইসির অনুমোদনের জন্য চলতি সপ্তাহে পাঠানো হতে পারে। এরপর শপথ আয়োজনের বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগ দেখবে।
আতিক উত্তরের মেয়র পদ আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ছেড়ে নতুন নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন। অন্যদিকে দক্ষিণে মেয়রের দায়িত্বে থাকা সাঈদ খোকনের এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া হয়নি। ফলে তিনি পদে রয়ে গেছেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তরে ভোট হওয়ার পর ১৪ মে প্রথম সভা হয়। সে হিসাবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে আগের নির্বাচিতরা।
সেই ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আনিসুল হক। তার মৃত্যুতে গত বছর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আতিক মেয়র নির্বাচিত হয়ে নয় মাস দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল উত্তরের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটিতেও ভোট হয়েছিল, তাতে মেয়র হন সাঈদ খোকন। তার করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ১৭ মে। অর্থাৎ তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
নবনির্বাচিত মেয়রদের দায়িত্ব গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “(বর্তমান করপোরেশনের) মেয়াদ শেষ হওয়া পযন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
“আনিসুল হক নেতৃত্বাধীন সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর উত্তরের মেয়রের মেয়াদ। নতুন যিনি আসলেন তিনি নির্বাচিত হয়ে থাকবেন। গেজেট প্রকাশ ও শপথ করে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে।”
দক্ষিণের মেয়রের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, “দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্বকাল কখন শুরু হবে, তা পরিষ্কার। বর্তমান মেয়র মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই নতুন নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব নেবেন।”
সেক্ষেত্রে সাঈদ খোকনের মেয়াদ শেষে দায়িত্ব নেবেন শেখ ফজলে নূর তাপস।
তবে উত্তরে কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে। কারণ আতিক ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উপনির্বাচনে মেয়র হলেও এবারের ভোটে অংশ নিতে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। ফলে এই সিটিতে মেয়রের আসন রয়েছে শূন্য। কিন্তু ২০১৫ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের পদ শূন্য নেই, আর তাদের মেয়াদও শেষ হয়নি।
বিষয়টি মাথায় রেখে সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, “আমার মনে হয় সবাইকে মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে গেজেটের পর শপথ হয়ে থাকলেও অসুবিধা নেই। এখন আইন বিশ্লেষকরা কী বলেন দেখতে হবে।”