বুধবার জাতীয় শোক দিবসের সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি৷
তিনি বলেন, “আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোনো অপশক্তি, বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ‘শত ঝড় দুর্যোগ’ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, “সরকারবিরোধী কোনো ধরনের আন্দোলন সফল হবে না। যে কোনো যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার সৎ সাহস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আছে।”
জাতীয় শোক দিবসের বাণীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে হত্যা করে।
“এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।”