ইতোমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে কমিশন অনুমোদিত ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা’ পাঠানো হয়েছে। এখন সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে আসনভিত্তিক খসড়া তালিকা করা হবে। আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষ করে কর্মকর্তারা তা কমিশনে পাঠালে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এবার তিন ৩ হাজার ভোটকেন্দ্র বেশি লাগবে ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এর মধ্যে ৬১৩টি কেন্দ্র হবে পার্বত্য এলাকায়; বাকি ৩৯ হাজার ৩৮৭টি হবে দেশের বাকি এলাকায়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অক্টোবরের মধ্যে ৩০০ আসনের ভোটার তালিকার সিডি ও ভোটার তালিকা মুদ্রণ শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ‘উপযুক্ত সময়ে’ ইসি তফসিল ঘোষণা করবে।
নবম সংসদ নির্বাচন ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি; ভোটকক্ষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি। দশম সংসদ নির্বাচন ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের বিপরীতে ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। ৩০০ আসনে ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। একাদশ সংসদ নির্বাচন ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের বিপরীতে প্রয়োজন হবে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র; ভোটকক্ষ লাগবে প্রায় ২ লাখ। |
কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, জুলাইয়ে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক খসড়া তালিকা প্রকাশ; অগাস্টে খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি ও নিষ্পত্তি; ভোটের ২৫ দিন আগে ইসি অনুমোদিত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ এবং তফসিলের পর নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে সেই তালিকা পাঠানোর কথা রয়েছে।
ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় বলা হয়েছে, গড়ে ২৫০০ ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৬০০ পুরুষ ও ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পারতপক্ষে ভোটকেন্দ্র করা যাবে না।
ইসির উপসচিব বলেন, “সাধারণত আগের নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল সেগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়। তবে নদীভাঙন ও দুর্যোগে ভোটকেন্দ্র বিলুপ্ত হলে নতুন ভোটকেন্দ্র ঠিক করতে হবে। কোথাও ভোটার বাড়লেও নতুন কেন্দ্র লাগে।”
আসছে ৩০ জুলাই তিন সিটির ভোটের পর নির্বাচন কমিশন পুরোদমে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নামবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
আরও খবর