খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর বিএনপির কর্মী সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
দুটি মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেককে ফেরত আনতে সচেষ্ট হওয়ার কথা লন্ডন সফরে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লন্ডন থেকে তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি ফিরবেন কিন্তু শেখ হাসিনা যেভাবে চান, সেভাবে নয়। তারেক জিয়াকে বীরের বেশে এ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।”
খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর লন্ডনে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক।
তারেক বাংলাদেশের পাসপোর্ট ত্যাগ করেছেন বলে নথিপত্র উপস্থাপন করে সোমবারই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান মোশাররফ।
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোন সুষ্ঠু,অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রতিনিধিত্বমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না।”
এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে গেলেও ‘প্রয়োজনে’ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও সরকারকে দেন এই বিএনপি নেতা।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “গণতন্ত্র যেখানে বন্দি সেখানে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে। যারা এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা গণতন্ত্রের প্লাবনে ভেসে যাবে।”
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, “কোনো স্বৈরাচারী সরকারের পতন আন্দোলন ছাড়া হয়নি। আন্দোলন শুরু করলে, গণঅভ্যুত্থান হয়ে যাবে।”
নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, শ্রমিক দল নেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জালাল উদ্দিন মজুমদার, সদস্য সামশুল আলম, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল, গাজী সিরাজউল্লাহ, নগর মহিলা দল সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি ও সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী।