তিনি বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে একজন করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফিজিওথেরাপিস্ট থাকা উচিত ছিল।
শনিবার রাতে বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের টকশো ‘একাত্তর সংযোগে’ আলাপচারিতায় এই মত দেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবী এই চিকিৎসক।
খালেদা জিয়ার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে তার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের প্রতি ইঙ্গিত করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “সরকার একটা কমিটি করলো, ভালো…। যদিও কমিটিটা আমার কাছে মনে হয়েছে অসম্পূর্ণ। কারণ সেখানে সাইকিয়াট্রিস্ট (মনোরোগবিদ) বা মনোবিজ্ঞানের কোনো লোককে রাখা হয় নাই। স্নায়ুজনিত রোগ কিন্তু মনোবিজ্ঞানের রোগ না। সেটা রাখা হয় নাই।
এসময় টকশোর আরেক আলোচক আওয়ামী লীগ নেতা নূউ-উল-আলম লেনিন তার বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, “এটা ঠিকই একজন মনোবিজ্ঞানী রাখা উচিত ছিল।”
খালেদা জিয়াকে শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগার থেকে বের করে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।
ওই বোর্ডে সদস্য রয়েছেন- ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
জাফরুল্লাহ বলেন, অন্য যেকোনো আসামির পয়সা বা প্রতিপত্তি থাকলে সে জেলে যাওয়ার সাত দিনের মধ্যে একটা বড় হাসপাতালের স্থানান্তরিত হতেন এবং সেখানকার কেবিনে থাকতেন।
“সরকার ইয়াবার আসামিকে বারডেমের ভিআইপি কেবিনে রেখেছে। ওনাকে একটা কেবিনে পাঠিয়ে দিলে কিই না ক্ষতি হবে!”
চিকিৎসক হিসেবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো একে একে তুলে ধরেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আজকে আমি একজন ডাক্তার হিসেবে যা অনুমান করতে পারি উনার সমস্যাটা আসলে পয়েলা হলো বয়োঃবৃদ্ধ রোগ। এই বয়সে কতগুলো রোগের প্রকোপ দেখা দেয় সেগুলো আছে। সেগুলোর উপরে বাসা বেঁধেছে একাকীত্ব, নিসঙ্গতা।
“উনার হাঁটুর ব্যথা। সম্ভবত ইমপ্ল্যান্টও আছে হাঁটুতে। উনার শারীরিক ইয়েটা একটু ওবেসিটির দিকে। … সব কিছু মিলে ভয়ানকভাবে উনার শারীরিক সমস্যা আছে।”
এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রেখে চিকিৎসা হবে না বলে মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, “তাকে বিএসএমইউতে একটা কেবিনে আটকে রেখে চিকিৎসা দেওয়াটা হবে বাঞ্ছনীয় কাজ।
“জাতির দুর্ভাগ্য; সব কথায় কথায় আমরা বিদেশে যেতে চাই।”