বৃহস্পতিবার অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় শামীম ওসমান সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্বকারী ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার উদ্দেশে বলেন, “আপনি যে কোনো বিষয়ে নোটিস দেওয়ার কথা বললেন, সেটাই কাম্য। আমি অসহায় সংসদ সদস্য। আপনার কথাতেই অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস দিয়েছিলাম।
“চারটা অধিবেশন চুপ করে দেখলাম। এখনও রেজাল্ট পাইনি। আপনি যে বললেন নোটিস দিতে, নোটিসের কোনো রেজাল্ট যদি না পাই, তাহলে আমার কী করণীয়?
“আপনি অভিজ্ঞ, বর্ষীয়ান। আপনি অভিভাবক। আমি মনে করি আমি অসহায় তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?”
পরে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বিষয়টি বিষয়টি নিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
একইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে শামীম ওসমানের নোটিসটি স্পিকারের গোচরে আনার পরামর্শ দেন ডেপুটি স্পিকার।
গত ২৬ জানুয়ারি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভারে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘মনগড়া’ সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জাতীয় সংসদে তলবের দাবি জানিয়ে রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক একটি নোটিস দেন।
পরে শামীম ওসমান দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি অবজারভার ও অনলাইন সংবাদ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের বিরুদ্ধে অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিস দেন।
বিধি মোতাবেক না হওয়ায় প্রথম আলো ও বাংলা ট্রিবিউনের বিরুদ্ধে দেওয়া নোটিস গ্রহণ করেননি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।