বুধবার সকালে দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর নেতৃতে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ১২ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তারা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে নজিবুল বশর সাংবাদিকদের বলেন, “মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং র্ফোস হিসাবে সেনা মোতায়েন চাই। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। এ জন্য সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে এর অধীনে নির্বাচন করার কথা বলেছি।”
তরিকত ফেডারেশন দশম সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করে।
তরিকত ফেডারেশনের অন্যতম দাবিগুলো হচ্ছে- নির্বাচনের সময় কোনো অপশক্তির জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে পরিবেশ বিঘ্নিত না করে সেজন্য ইসির তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা; নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা; ইভিএম পদ্ধতি চালু; রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে;; নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা; সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা; দলগুলো সড়ক বন্ধ করে যেন সভা সমাবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।
বিকালে বাংলাদেশ জাতিয় পার্টি বিজেটির সঙ্গে ইসির সংলাপসূচি থাকলেও দলটি বিশেষ কারণে তারিখ পরবর্তীতে সময় চেয়েছে।
ধারাবাহিক এ সংলাপ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।