নিজের গড়া রাজনৈতিক জোট বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) থেকে নাজমুল হুদাকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছেন এর মহাসচিব, যাকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের প্ররোচনা হিসেবে দেখছেন হুদা।
Published : 04 Apr 2017, 09:40 PM
জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি সেকান্দার আলী মনি মঙ্গলবার আদাবরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে জোটের এক জরুরি বৈঠকে জোট প্রধানের দায়িত্ব থেকে নাজমুল হুদাকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।
এরশাদের প্রস্তাবিত ঐক্যজোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয় বৈঠকে।
সেকান্দার আলী মনি বলেন, “দীর্ঘ দুই বছর হল জোট গঠন করা হয়েছে; কোনো কর্মসূচি নেই, কার্যক্রম নেই। তিনি (নাজমুল হুদা) আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক খ্যাতিমান ব্যক্তি, কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেননি।”
জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। মাঠপর্যায়েও দলটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আমরা মনে করছি, বিএনএভুক্ত ছোট রাজনৈতিক দলগুলো এই দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ থেকে শক্তিশালী হবে।”
সর্বশেষ ২০১৫ সালের শেষ দিকে এসে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে একটি দল গঠন করেন বিএনপি আমলের সাবেক এই মন্ত্রী।
এর মধ্যে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ৩১টি দল নিয়ে তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স নামে ওই রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দেন, যার অধিকাংশই নাম সর্বস্ব বলে অভিযোগ অনেকের।
এই জোট থেকে তাকে অব্যাহতির ঘোষণা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ‘দুঃখজনক’ ও ‘অনভিপ্রেত’ আখ্যায়িত করেন নাজমুল হুদা।
এর জন্য জাতীয় পার্টিকে দায়ী করে তিনি বলেন, “এরশাদ সাহেব নিজে স্বৈরাচার ছিলেন এবং তখন তিনি তার আসন পাকাপোক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভেঙে নিজের দলে লোক নিয়েছেন। এখন তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করলেও সেই একই খেলা খেলছেন।
“এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা জোট ভাঙা কোনোভাবেই পলিটিক্যাল এনভায়রনমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”