ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপিতে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশের অনুমতির জন্য মঙ্গলবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
গণসমাবেশের অনুমতি ছাড়াও সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অংশ নিতে যেন বাধা দেওয়া না হয়, সে দাবিও তারা পুলিশ কমিশনারের কাছে তুলে ধরেন।
তাদের ওই আবেদনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তারা যে আবেদনটা করেছে সেটা বিবেচনা করা হবে।”
ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, “আবেদনের পরে ডিএমপির ইন্টারনাল গোয়েন্দা প্রতিবেদন ছাড়াও সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট দেবে থ্রেট অ্যানালাইসিস করে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে যে ১০ তারিখ তাদের পারমিশন দেওয়া হবে কী হবে না। তারপর সিদ্ধান্ত হবে যে কোন ভেন্যুতে (স্থানে) তাদের পারমিশন দেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মিন্টো রোডে ডিএমপি সদর দপ্তরে আসেন বিএনপি নেতারা। এক ঘণ্টার বেশি সময় কমিশনারের দপ্তরে কাটিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে।
আমান উল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করতে চাই। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা করে তারা আমাদেরকে জানাবেন।”
আমান বলেন, “১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে যাতে বাধা দেওয়া না হয় এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা কমিশনারকে জানিয়েছি।”
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিএনপির আন্দোলনে পাঁচ নেতা-কর্মীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সব বিভাগীয় শহরে এই সমাবেশ করছে বিএনপি। ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের এ কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে।