পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের ওপর ‘হামলা’ করেছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা।
Published : 18 Oct 2023, 06:05 PM
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সেই সেঙ্গ বিএনপির ১১ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করার পর বুধবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া আসামি দুলুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। বাকি ১১ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার ১১ জনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
ওই ১১ জন হলেন– ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, মাকছুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আবির ইসলাম সাত্তার, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে মামুন, শিমুল মিয়া, সোহেল, মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু ও শাহীনুর রহমান।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মহসীন মিয়াসহ কয়েকজন আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে দুলুর পক্ষে চিকিৎসার কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়।
আদালতের অনুমতি নিয়ে দুলু বলেন, “এক মাস পরপর আমার কেমোথেরাপি দিতে হয়। আমেরিকা থেকে ওষুধ না আসায় গত ৩ অক্টোবর দিতে পারিনি। এখন মেডিসিন এসেছে। কেমোথেরাপি দিতে অনেক টাকা লাগে, কিন্তু ম্যানেজ করতে পারছিলাম না। অনেক কষ্ট করে টাকা ম্যানেজ করেছি। চিকিৎসক বলেছেন, আমি আর চার বছর বাঁচব। তার মধ্যে এক বছর চলে গেছে।”
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচতলায় কিছু লোক ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য’ সমবেত হয়েছে খবর পায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছানো মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে।
“ওই ঘটনায় এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ অন্যান্য অফিসারদের কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করা হয়েছে। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনাস্থলে তারা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করাসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক তারা ঢাকায় সমবেত করে।”
এরপর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুলুকে তার গুলশানের বাসা থেকে ‘তুলে’ মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।