মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
Published : 21 Feb 2025, 09:08 PM
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ‘গণঅবস্থান’ কর্মসূচি দিয়েছে তার দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের আমির শফিকুর রহমান।
‘‘কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকর্মী মুক্তি পেয়েছেন।
“দেশবাসী আশা করেছিল, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলামও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তি পাবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় সাড়ে ৬ মাস গেলেও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। এতে দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত।”
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছিল, এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরে ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি। সে সময় তার নেতৃত্বেই বৃহত্তর রংপুরে গণহত্যা চালিয়ে ১৪ শ’র বেশি মানুষকে হত্যা, বহু নারীকে ধর্ষণ ও অপহরণ, নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল।
রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম, যা এতদিন শুনানির অপেক্ষায় ছিল।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ৯ জানুয়ারি আজহারের রিভিউ আবেদন আদালতে তোলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক ও নাজিব মোমেন।
সেদিন শুনানির জন্য ২৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। এরপর ২৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেয়।
২০ ফেব্রুয়ারিও শুনানি হয়নি। শুনানি হওয়ার নতুন তারিখ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।