“যারা নাম ভাঙিয়ে এসব কাজ করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক”, বিজ্ঞপ্তিতে বলেন বিএনপি নেতা।
Published : 05 Sep 2024, 11:39 PM
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি বা অন্য কোনো অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইশরাক হোসেনের পক্ষে সুজন মাহমুদ নামে একজন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ কথা বলা হয়।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইশরাককে জড়িয়ে নানাভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কে বা কারা তাঁর ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, দখলদারত্বসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
“বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি ও নগর ভবনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে”
দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা আশিকুর রহমানকে জোরপূর্বক পুনরায় দায়িত্বে বসানোর পেছনে ইশরাকের ইন্ধন রয়েছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, “কিন্তু এ ধরনের অপকর্মে আমার বিন্দু পরিমাণ সম্পৃক্ততা নেই। আমার নাম ভাঙিয়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এমন অপ্রচার চালাচ্ছে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যারা তার নাম ভাঙিয়ে এসব কাজ করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
“এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমার নাম ব্যবহার করে কোনো নেতা-কর্মী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।”
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
ক্ষমতার পালাবদলের পর বিভিন্ন সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে পালাবদলের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি ও বিক্ষোভের পর ১৩ অগাস্ট পদত্যাগ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান।
তবে গত সোমবার প্রায় শতাধিক লোক সঙ্গে নিয়ে নগর ভবনে আসেন আশিকুর। সেদিন থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নিয়মিত কার্যালয়ে বসেছেন তিনি।
ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেদিন আশিকুর রহমান যাদের নিয়ে নগর ভবনে এসেছিলেন তারা নিজেদের ইশরাকের লোক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
তবে ইশরাক বিবৃতি দিলে দুপুরের পর নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যান আশিকুর।