সংলাপ ও সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদেরকে জনগণের সামনে পুরো বোকা বানিয়ে ফেলেছে।প্রশ্নই উঠতে পারে না।”
Published : 08 Jul 2023, 08:11 PM
প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকার মানুষের ফোনালাপ ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এমন অভিযোগ করেন।
ফোনের কথোপকথনে আড়ি পাততে সরকার ইসরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘আরও একটা ভয়াবহ কাণ্ড ঘটেছে এদেশে। সেটা হচ্ছে যে, ইসরায়েল তারা একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছে। সেই ডিভাইসটার নাম দিয়েছে পেগাসাস। এই ডিভাইস হচ্ছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের যেকোনো টেলিফোন সে তার মধ্যে কী কথা হচ্ছে, না হচ্ছে, কি বলা হচ্ছে, টেক্সট কী পাঠাচ্ছেন সেসব নিয়ে নিতে পারবে।
‘‘আপনারা অনেকে খবরের কাগজে হয়ত পড়েছেন কিন্তু গুরুত্ব দেন নাই। আপনার পকেটের টেলিফোন আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু।“
এর মাধ্যমে সরকার রাজনীতি, গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “এখানে সরকার ইচ্ছা করলেই আমার সব কিছু হরণ করতে পারে না।“
পুরনো মামলার রায় দেওয়ার তোড়জোড় শুরুর মাধ্যমে সরকার আবার পুরনো চক্রান্ত শুরু করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা খবর পাচ্ছি যেটা আগেও বলেছি তারা (সরকার) এখন বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আবার পুরনো চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তারা আবারও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।
“স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে তারা চিঠি দিচ্ছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যে সমস্ত মামলা হয়েছে ২০১৩ তে এবং তারপরে…যত দ্রুত দুই মাসের মধ্যে চার্জশিট দিয়ে শেষ করতে হবে।”
তার অভিযোগ, আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিচারকদের দুই মাসের মধ্যে সব রায় দিয়ে দিতেও বলা হচ্ছে।
“এটা কী প্রমাণ করে? প্রমাণ করে তারা যে পরিষ্কার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য হচ্ছে যে, তারা আবারও একই কায়দায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে, বিচার বিভাগকে জোর করে… এই রাষ্ট্র বিরাজনীতিকরণ করবে, নির্বাচন করবে বিরোধী দল ছাড়াই, বিরোধী দলের নেতারা যাতে নির্বাচন করতে না পারে।“
এরকম ব্যবস্থায় দেশের মানুষ কী নির্বাচনে যেতে পারে প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল নিজেই উত্তর দেন, “পারে না।”
তার অভিযোগ, স্বাধীনতার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রকে ধবংস করেছিল। এখন তারা ভিন্ন মোড়কে একদলীয় শাসন চালাচ্ছে।
‘সংলাপ: প্রশ্নই উঠতে পারে না’
ফখরুল বলেন, ‘‘আমি বারবার একথা বলছি এজন্য যে, অনেকের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি এসে যায় যে, একটা সমঝোতা করলে হয় না। এদের সাথে সমঝোতা করে লাভ হবে না তো। আবার প্রতারণা করবে মানুষকে, জনগণকে।
‘‘হ্যাঁ একথা ঠিক যে গণতন্ত্রে কিছু আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনা কার সাথে করবেন। যে বিশ্বাসই করে না, অন্যের অধিকারে বিশ্বাসই করে, গণতন্ত্রের বিশ্বাসই করে না। তার সাথে কী আলাপ করবে? আমরা বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম। আমাদেরকে জনগণের সামনে পুরো বোকা বানিয়ে ফেলেছে।প্রশ্নই উঠতে পারে না।”