মামলা পচিালনায় ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক স্তরসমূহ ‘অনুসরণ করা হচ্ছে না’ বলেও অভিযোগ এ বিএনপি নেতার।
Published : 21 Nov 2023, 09:03 PM
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত কিছুদিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ‘অতি দ্রুত’ রায় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘জাস্টিস হারিড, জাস্টিস বারিড’ কথাটা এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে প্রযোজ্য। যখন একজন লইয়ার তার ক্লায়েন্টকে ডিফেন্ড করবেন, সেজন্য সময়-সুযোগ এবং লিগ্যাল প্রসিডিউর মেনটেইন করা উচিত।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচারিক আদালত সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে; উনারা তড়িঘড়ি করে, মনে হচ্ছে কারো নির্দেশে এ রায়গুলো দিচ্ছেন।”
‘রাজনৈতিক বিবেচনায় একতরফা’ রায়গুলো হচ্ছে অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের আইনজীবীরা মামলা পরিচালনার ‘পর্যাপ্ত সুযোগ’ পাচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২ মাসে ঢাকার আদালতে ২১ মামলায় বিএনপির ২৭১ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর গত ১ বছরে ২৯টি মামলায় ৩০৪ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কায়সার কামাল বলেন, চার বছর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা আবু তাহের দাইয়া এবং ১০ বছর আগে ‘গুম’ হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন, ৮ বছর আগে ‘গুম’ হওয়া আমিনুল ইসলাম জাকিরকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
“আইনজীবী হিসেবে সাজা প্রদানকৃত প্রতিটি মামলা পর্যালোচনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নেই। কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ করতে হয় সাক্ষ্য-প্রমাণের দ্বারা। অধিকাংশ মামলায় সাক্ষী হিসেবে শুধু পুলিশ সদস্যকে হাজির করিয়ে সাজা প্রদান করা হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।”
মামলা পরিচালনায় ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক স্তরসমূহ অনুসরণ করা হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ শতাধিক আইনজীবী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।