“সরকার পতনের পর রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ যে ৬৬২ জনকে সেনাবাহিনীর আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের নিরাপদে ‘দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়েছে।“
Published : 20 Sep 2024, 04:06 PM
আওয়ামী লীগের লোকজনকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনই ‘আগলে রেখেছে' বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
এছাড়া সরকার পতনের পর রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ যে ৬৬২ জনকে সেনাবাহিনীর আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের নিরাপদে ‘দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছে তিনি।
এই প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ আছে।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এক সভায় কথা বলছিলেন সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, “এখনো কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয় নাই। আজকে ভারতে বসে আমাদের যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি নানা ষড়যন্ত্র করছেন। তার যে দলবল লুকিয়ে আছে, যে দলবলকে এখনো আমাদের বর্তমান প্রশাসন সামলে রেখেছে, আগলে রেখেছে। তাদেরকে এখনো পর্যন্ত বের করছে না।
“একটা কথা বলেছে যে, ৬২২ জন ছিলে বোধহয় আর্মিদের অধীনে, এরা কোথায় গেল? এতো এমপি ও মন্ত্রী অনেককে পার (দেশের বাইরে) করে দিয়েছে। কারা পার করেছে? সর্ষের মধ্যে ভূত আছে।”
দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা চলছে, এসব কারা করছে? করছে যাদের প্রচুর টাকা আছে তারাই ষড়যন্ত্রকারী। সাবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তারা ১৬টা বছর কষ্ট করেছে, নির্যাতন-জেল-জুলুম ভোগ করেছে। আরও কিছু দিন কষ্ট করতে হবে। আরও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।“
দলের কৌশল নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কারো ওপর অত্যাচার করব না, অন্যায় করব না, আমরা সকলে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে যে যার যেখানে কর্তব্য, যার যেখানে কাজ, সেটা করব।”
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগনের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই আলোচনা হয়।
সেখানে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বেপারীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক, ফরিদা ইয়াসমীন, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম শফিক, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুসা ফরাজী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।