সংস্কার বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, “যে ক’টি বিষয়ে আমরা ঐক্যমতে যেতে পারব সেগুলো ইমিডিয়েটলি করা যেতে পারে, সেগুলোর ব্যাপারে সময় নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
Published : 12 Jan 2025, 07:15 PM
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে বিএনপি।
রোববার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারে বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেছেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সবার মনে প্রশ্ন আছে সেই বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। একটি হচ্ছে নির্বাচন- কবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে? আমাদের ভাবনা কী? সংস্কারের ব্যাপারে যে আলোচনা, সেই সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের ভাবনা কী? মূলত নির্বাচনের রোডম্যাপ এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যেটা বলে আসছি, এই বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অন্য কোনো ভাবনার দিকে না গিয়ে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনের দিকে গিয়ে দেশে আগামী দিনে একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য।”
খসরু বলেন, “অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দেশ বেশিদিন চলতে পারে না। অগণতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক ওয়েট থাকে না, মোবিলাইজেশন প্রসেস থাকে না, জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। জনগণের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাক পাওয়া যায় না। সুতরাং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যত তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব, সেদিকে আমরা জোর দিয়েছি।”
রো্ববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ইইউ রাষ্ট্রদূতের গাড়ি গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে যেটি আলোচনা হয়েছে, সেটা হচ্ছে যে ক’টি বিষয়ে আমরা ঐক্যমতে যেতে পারব সেগুলো ইমিডিয়েটলি করা যেতে পারে, সেগুলোর ব্যাপারে সময় নেয়ার কোনো কারণ নেই।
“আর যেগুলোতে ঐক্যমত হবে না, সেগুলো আগামী দিনে নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল জনগণের কাছে নিয়ে যাবে। তাদের যে প্রোগ্রাম নিয়ে যাবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে সংসদে পেশ করা হবে এবং সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে, বিতর্ক হবে এবং পাস করা হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু ইইউর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে আমাদের সাথে তাদের অর্থনীতির। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তা অব্যাহত থাকবে কিনা?
“আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বিএনপির অর্থনৈতিক সফলতা আমরা বলেছি। আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিকে এই গর্ত থেকে তু্লে আনার জন্য বিএনপি যে কর্মসূচি ইতিমধ্যে নিয়েছে এবং এই সরকারের সময় যদি কোনো কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয় সেটা অবশ্যই আমরা সমর্থন করব। আমাদের দলের অর্থনৈতিক কর্মসূচি আছে। জনগণ আমাদেরকে নির্বাচিত করলে সেই কাজগুলো আমরা করব।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের বিএনপি স্বাগত জানায় বলে জানান আমীর খসরু।