ইসির জবাবদিহিতার বিধান থাকা দরকার বলে মনে করে দলটি।
Published : 22 Apr 2025, 05:07 PM
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটির প্রতিনিধি দল।
পরে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, কমিশনের কাছে তারা ৩১ দফা লিখিত সুপারিশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ইসি একটা খসড়া আচরণবিধি তৈরি করছে। এখনও পাবলিক করেনি। আজ আমরা আচরণবিধির বিষয়ে বেশকিছু মতামত দিয়েছি।
“আমরা বলেছি, একতরফাভাবে ইসি আচরণবিধি চূড়ান্ত না করে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শলাপরামর্শ করে, বিচার-বিবেচনা আমলে নিয়ে এটা প্রণয়ন করে, তাহলে এটার একধরনের গ্রহণযোগ্যতা আসবে, কার্যকর হবে।”
ইসিকে জবাদিহিতার মধ্যে আনার সুপারিশও করেছে দলটি।
সাইফুল হক বলেন, “স্বাধীন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির ক্ষমতার প্রয়োগ দেখতে চাই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির ক্ষমতাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ হাজির করেছি। একই সাথে বলেছি, ইসিকে একটা জবাবদিহিতার মধ্যে আনা দরকার।”
ফেরেশতা দিয়েও একা ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়
সাইফুল হক বলেন, “নির্বাচনটা করেন ডিসি, এসপি, ওসিসহ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এখানে নির্বাচনি ব্যবস্থায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা থাকে গুরুত্বপূর্ণ।”
জনবল বাড়িয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এখানে যদি ফেরেশতাও বসিয়ে দিই, ইসি আসলে কোনো ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। এটা যৌথ অর্কেস্ট্রার মতো।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “এখানে যে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চান। যেহেতু তাদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকবার কথা নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বাত্মক আন্তরিকতা, ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সচেতন ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা ত্রয়োদশ সংসদের অর্থপূর্ণ কাযকর নির্বাচন দেখতে পাব।”
জনগণ ১৬ বছর ধরে অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বলেন, “ইসি ইতোমধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ করেছে। আমরা জানতে পেরেছি ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে তারা প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দল, অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ, আলাপ-আলোচনা করে নিশ্চয়ই অচিরেই নির্বাচন সম্পর্কে আপনারা সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করবেন। নির্বাচনের সূচি বা সিডিউল ইসিকে ঘোষণা করতে হবে।”
ইসি স্বল্পতম সময়ে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করলে মানুষ সাধুবাদ জানাবে বলে মনে করেন তিনি।