কোনো অনিয়মের কোনো প্রতিকার নেই মন্তব্য করে সেলিমা রহমান বলেছেন, "বিচার বিভাগ আজকে সম্পূর্ণ পদদলিত।"
Published : 17 Feb 2024, 02:38 PM
নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্তা করেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি, তার প্রতিষ্ঠানও দখল করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভে সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “আজকে জনগণ দেখছে ওদের দখলদারিত্ব। কিভাবে একজন নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান দখল করা হচ্ছে। তাকে তো হেরাজ করেছেই... এখন তার টেলিকম… গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পূর্ণভাবে দখল করেছে… ওদের দখলদারিত্ব সর্বব্যাপী, দখলদারিত্বে ওরা নজির সৃষ্টি করেছে।
“শুধু তাই নয়, ওরা ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। প্রতিদিন খবরের কাগজে সংবাদ দেখছেন মহিলারা কিভাবে নিপীড়িত-লাঞ্ছিত হচ্ছে।"
কোনো অনিয়মের কোনো প্রতিকার নেই মন্তব্য করে সেলিমা রহমান বলেছেন,“বিচার বিভাগ আজকে সম্পূর্ণ পদদলিত।”
বিক্ষোভ সমাবেশে ইউনূস সম্পর্কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, "তার (মুহাম্মদ ইউনুস) পক্ষে বিদেশে প্রায় তিনশ গণমান্য ব্যক্তি বিবৃতি দিলেন, তার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমি আর আপনি কোথায় আছি বাংলাদেশে? আমি-আপনি কোথাও নাই।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল বন্দির মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ নাগরিক ঐক্যর উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বাজার পরিস্থতি নিয়ে নিয়ে সেলিমা বলেন, “দ্রব্যমূল্যের আগুন ছোঁয়া দাম। একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে তার পরিবারকে খাওয়াতে পারবে? সরকার প্রতিদিন বলছে, জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। আমি বলছি ওরা কমাবে না। তাদের সিন্ডিকেট দাম কমাবে না এবং তারা সিন্ডিকেটকে কিছু বলবে না।”
মিন্টু বলেন, “কয়েকদিন আগে এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দ্রব্যমূল্য কমে যাবে। এই কথা কি এখানে যারা আছে তারা বিশ্বাস করেন? করেন না। যতদিন এই সরকার আছে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে তাতে এদেশের লোক বিপদে পড়ে যাবে। এর কারণ হল দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের মাধ্যমে কখনো মূল্যস্ফীতি কমবে না।”
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপন, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের আবদুল্লাহহিল বাকী, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হকসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।