“জনপ্রিয়তা যদি কারো না থাকে সে দায় কি আওয়ামী লীগের?”
Published : 08 Jan 2024, 01:15 AM
বিএনপি ‘জনগণের আস্থা হারিয়েছে’ বলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
তিনি বলেছেন, “কেউ নির্বাচনে না এলে এর দায় কি আওয়ামী লীগের? নির্বাচন তো সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি নির্বাচন না করার কারণ তার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার জায়গাটা তারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ঘটনাপ্রবাহ, ফলাফল ও বিশ্লেষণ নিয়ে রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
ঢাকা-৮ আসনে জয় পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে কিছু সময়ের জন্য বিভ্রান্ত করা যায়। মানুষকে মৃত্যু ভয় দেখিয়ে, পুড়িয়ে মেরে কোনো রাজনৈতিক ফয়সালা হতে পারে, এটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সমাধান নয়।
“সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের মানুষের। সেটা হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।”
দশম সংসদ নির্বাচনের মত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও বিএনপি বর্জন করেছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তারা ভোট ঘিরে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল করছে। গত দুই মাস ধরে তাদের হরতাল-অবরোধে ফিরে এসেছে ২০১৩-২০১৫ সালের মত নাশকতা। যদিও এসব ঘটনার জন্য তারা ক্ষমতাসীনদের দায়ী করছে।
নাছিম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে নূন্যতম কোনো ইতিবাচক ভূমিকা (বিএনপি) পালন করতে পারেনি। তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ চিনে ফেলেছে এবং বিএনপি সাংবিধানিকভাবে কিন্ত বিএনপি বিরোধী দলের আসনে নেই। হ্যাঁ, তাদের একটা অংশ বাংলাদেশে আছে এটা সত্যি। এখন সেই ভোট নিয়ে তারা সরকার কোনোদিনও জিততে পারবে না, এখন সরকার গঠনও করতে পারবে না।”
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এমন যদি হত, বিএনপির নির্বাচন করার সুযোগ নাই, সরকার আইনের অপপ্রয়োগ করে তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছে অথবা কেনো না কোনোভাবে তাদের নির্বাচন করার জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে… সেক্ষেত্রে না হয় দায় আমাদেরই হত। সরকারেকে দোষ দেওয়া যেত। এদের নির্বাচন করার সব ধরনের সুযোগ আছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এবং এটা হয়েছে। অভিযোগ দিলেই তো তা প্রমাণিত হয়ে যায় না।”
এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী কে ছিল? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে নাছিম বলেন, “জনগণ যাকে নির্বাচিত করেছে, তিনি বিজয়ী; আর যিনি নির্বাচিত হতে পারেননি, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমরা জনগণের রায়কে স্বাগত জানিয়েছি।”
নির্বাচনের কয়েকদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিক খবর দিয়েছিল, অন্তত ১৭৪ থেকে ১৮০টি আসনে কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। তাহলে এ সাধারণ নির্বাচনকে কেমন মানের বলবেন– সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার সামনে।
উত্তরে তিনি বলেন, “নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। দেশের ২৭টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। জনপ্রিয়তা যদি কারো না থাকে সে দায় কি আওয়ামী লীগের?”