“বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণের যে প্রবণতা, সেটাও পরিহার করতে হবে।”
Published : 10 Dec 2024, 05:14 PM
বাংলাদেশে কে বিচারপতি হবেন, কে মন্ত্রী হবেন, সেই সিদ্ধান্ত এতদিন ভারত থেকে আসত মন্তব্য করে দেশটিকে ‘মুরুব্বিয়ানা’ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। ভারত প্রতিবেশী দেশ। সমমর্যাদার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলে সেটা উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে সেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান গয়েশ্বর।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাম্প্রতিক ঢাকা সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুরুব্বিয়ানা অথবা আমাদের ওপরে খবরদারি, এটা ভারতকে পরিহার করতে হবে।
“এতদিন দেখা গেছে দিল্লির সংকেত ছাড়া একটা ব্যাংকের এমডিও নিয়োগ হয় নাই এবং কে কোথায় বিচারপতি হবেন, কে কোথায় বড় বড় পদে থাকবেন, কে মন্ত্রী হবেন, সেটা তারা (ভারত) সিদ্ধান্ত দিত।”
গয়েশ্বর বলেন, “আমরা মনে করি, এগুলো শুধু নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রবণতা, সেটাও ভারতকে পরিহার করতে হবে।”
বিএনপির এই নেতা মনে করেন, “বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে, কাকে কোথায় বসাতে হবে। এর জন্য অন্য দেশের পরামর্শের দরকার নাই। নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কোনো স্বাধীন দেশের জনগণের কাম্য নয়।”
গয়েশ্বরের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দীর্ঘ সময় সুইডেন থেকে দেশে ফেরা দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ।
গয়েশ্বর বলেন, “ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নতুন সম্পর্কের কথা বলেছেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, পুরনো সম্পর্কের মধ্যে কোনো না কোনো ফাঁক-ফোকর ছিল।
“ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কটা হতে হবে দেশে দেশে, কান্ট্রি টু কান্ট্রি; কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়। একজন ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছর তারা বাংলাদেশের ভোটাধিকার বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে।”
তিনি বলেন, “সুতরাং আজ যদি এই কথা উপলব্ধি করতে পারে তাহলে তারা নিশ্চয় সঠিক পথে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে এবং অব্যাহত রাখবে।”
বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, “আমরা সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। আমরা বন্ধুত্ব চাই, প্রভুত্ব চাই না।”