“তারা আশা করছে, আইএমএফের পরের কিস্তিটা পেলে রিজার্ভটা কিছু বাড়বে। তার মানে ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানো,” বলেন তিনি।
Published : 15 May 2024, 05:36 PM
দেশের প্রবাসী আয় কমার পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও ‘হুমকির মুখে পড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রিজার্ভের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “আমাদের রিজার্ভ কমছে। তবে এটা বাড়ার কোনো লক্ষণ কেউ দেখছে না। ঋণ করে বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।
“এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স দিয়ে বলা হচ্ছে যে, তারা আশা করছে যে, আইএমএফের পরের কিস্তিটা পেলে রিজার্ভটা কিছু বাড়বে। তার মানে ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানো, এটা কতটা রিজার্ভ ভাবা দরকার। আমার সম্পদ কত, এটা বৃদ্ধি দেখানোর জন্য যদি ঋণ কইরা দেখাতে হয় তাহলে এটা প্রকৃতপক্ষে কোনো বৃদ্ধি না।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনাসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “অনেকগুলো দেশ থেকে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা টাকা পাঠায়। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় কর্মজীবীরা যে পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠায় ভারতে, তার পরিমাণ বহু দেশ থেকে আমাদের প্রবাসীরা যত টাকা পাঠায় তার চেয়ে বেশি।
“এটা বিবেচনা করার কি দরকার আছে যে, এত টাকা যে চলে যাচ্ছে, এটা বন্ধ করার কোনো পথ আছে কিনা। আবার দুই লক্ষ শ্রমিক বাইরে পাঠিয়ে যে টাকা আমার উপার্জন হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা চলে যাচ্ছে আমার। এটা ঠেকানোর জন্য কোনো চেষ্টা আছে কিনা। যে কাজ করে তারা এই টাকা উপার্জন করে নিয়ে যাচ্ছে, ওই কাজ আমাদের দেশের লোককে দিয়ে যদি করাতে পারি তাহলে এটা হয় না। কোনো আগ্রহ নাই।”
দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “দাম বেড়েই চলেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়া মানে মজুরি কমা, প্রকৃত আয় কমা। সমস্ত মানুষের প্রকৃত আয় বা মজুরি কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা, এটা মানা যায় না। সেজন্যই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ একটা পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।”
দেশ ‘গভীর দুঃসময়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোনো দিক থেকে কোনো ইন্ডিকেটরই (সূচক) তো আমরা কোনো আশার দিক দেখছি না। এই ঢাকা মহানগর বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর, এর বায়ু দূষিত। এখানে যা কিছু হচ্ছে সবই প্রায় দূষিত কাজ হচ্ছে।
“এখানে ব্যাংক লুট হয়…আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রীকে আমরা বলতে শুনেছি…কোনো একটা ব্যাংকের চুরি নিয়ে বলেছেন যে, এটা তো সাগর চুরি নয়, মহাসাগর চুরি। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। তার ফলাফল আমরা দেখলাম যে, আমাদের দেশের চুরি-চামারি করে কিছু লোক শুধু দেশে নয়, বিদেশে পর্যন্ত অনেক বড় বড় সম্পদশালী ব্যক্তি হয়ে গেছেন।”
বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনাসভায় কথা বলেন নজরুল ইসলাম।
সভায় নাগরিক ঐক্য্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, এনডিপির কে এম আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসাইন, গণফোরামের মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, লেবার পার্টির এসএম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই বক্তব্য দেন।