“…আসুন এখন আমাদের যেটা প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন হচ্ছে আমাদের অটুট ঐক্য,“ বলেন তিনি।
Published : 20 Aug 2022, 10:55 PM
দেশে গণতন্ত্র ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ করতে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ঐক্য’ চাইলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সেই দেশে কখনই শান্তি আসবে না, কোনো সম্প্রদায়ের মানুষই নিরাপদে থাকবে না, কোনো ব্যক্তি নিরাপদ থাকবে না- যতক্ষণ না সেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
“…আসুন এখন আমাদের যেটা প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন হচ্ছে আমাদের অটুট ঐক্য।“
গণতন্ত্রের অধিকারকে ‘ফিরিয়ে’ আনার জন্য ঐক্যে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের সেই অধিকার, যে অধিকারের জন্য আমরা একাত্তরে যুদ্ধ করেছিলাম সেই অধিকারটাকে প্রতিষ্ঠিত করা; আমাদের স্বাধীনতার অধিকার, আমাদের সার্বভৌমত্বের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।”
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের ভাই- যাদেরকে আমরা নিজস্ব ভাই মনে করি, তাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে; তাদের মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে, তাদের উপাসনালয়ে আক্রমণ হয়েছে। এখান থেকে যেটা বুঝা যায়, এটা শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের ওপরে আক্রমণ হয়েছে সমানভাবে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
“এই কথা পরিষ্কার- শ্রীকৃষ্ণের যে জন্ম হয়েছিল, তার যে আবির্ভাব হয়েছিল; সেই আবির্ভাব হয়েছিল মূলত অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানবগোষ্ঠীকে। ...আজকে বাংলাদেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে, আজকে এখানে অনেকে বলেছেন এই অবস্থার সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের যে আবির্ভাব বা জন্ম তার সঙ্গে বহুলাংশে মিল আছে।”
বিএনপি এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।
জন্মষ্টমী তিথির শেষ দিনে বিএনপির উদ্যোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে এবং ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেশ দাশ অপুর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, সুকোমল বড়ুয়া, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, অপর্ণা রায়, রমেশ দত্ত, সুশীল বড়ুয়া, দেবাশীষ রায় মধু, কামাক্ষা চন্দ্র দাস, তরুন দে, মিল্টন বৈদ্য, জয়দেব জয়, সুরঞ্জন ঘোষ বিশ্বনাথ সরকার, সুকৃতি মন্ডল, স্বাধীন কুণ্ড, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, রামকৃষ্ণ মিশনের পূর্নাধানন্দ, ইসকনের দ্বিজননি গৌরাঙ্গ দাস, বিজয় পান্ডে।