রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা ‘সহিংসতা’ বাড়াবে: জিএম কাদের

এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা আগামী নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত বলেও মনে করেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2022, 12:54 PM
Updated : 1 Oct 2022, 12:54 PM

স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে সামনের দিকে দেশ ‘বড় ধরনের সহিংসতার’ দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জিএম কাদের।

এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা আগামী নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় এই উপনেতা।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের এক কর্মীকে দেখে আসার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে আমরা বাধাগ্রস্থ হচ্ছি বিভিন্ন জায়গায়। আমাদের লোকজন গতকাল (বৃহস্পতিবার) গাজীপুরে মিটিং করতে গিয়েছিল। সেখানে দুইটা জায়গা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাদেরকে করতে দেয়নি।

"আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম, শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মতামত ব্যক্ত করতে চেয়েছিলাম। সেখানেও যদি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি কোথায় থাকবে? স্বাভাবিক রাজনীতি কোথায় থাকবে?”

জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে মন্তব্য করে তিনি বলেন,

‘‘এভাবে স্বাভাবিক রাজনীতিকে যদি আমরা পথরুদ্ধ করে দেই তাহলে সামনের দিকে দেশ একটা বড় ধরনের সহিংসতার দিকে যাবে বলে আমি আশঙ্কা করছি এবং এটা আগামী নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত।

“অর্থাৎ জোরজবরদস্তি নির্বাচন করা হবে এই ধরনের মেসেজ আমরা সরকারি দল থেকে পাচ্ছি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। সেখানে সহিংসতাতে আমরা বিশ্বাস করি না।”

জিএম কাদের বলেন, ‘‘আমাদেরকে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা দিতে হবে, বিক্ষোভ প্রদর্শনের স্বাধীনতা দিতে হবে-সেসব জায়গায় যদি আমরা বাধাগ্রস্থ হই তাহলে তো এখানে কোনোরকম সাধারণ রাজনীতি চলতে পারে না।”

‘‘সেখানে সহিংস রাজনীতির জায়গায় সহিংস রাজনীতি আসবে, সেখানে স্বাভাবিক রাজনীতি হয়ত শেষ পর্যন্ত বিদায় নেবে। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বড় দুযোর্গ আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।”

এদিন দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ত্রাসীদের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া পিরোজপুরের স্থানীয় নেতা সফিকুল ইসলামকে দেখতে আসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

কাদেরের অভিযোগ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সফিকুলকে ‘ক্ষমতাসীন দলের’ দুবৃত্তরা কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে তার উপর এ হামলা হয়।

তার দাবি, সফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা হয়েছিল। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হয়ত বাঁচলেও তাকে আজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বাঁচতে হবে।

তিনি এ হামলার ঘটনায় জড়িততে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এসময়ে জাপার কেন্দ্রীয় নেতা আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, দীন ইসলাম শেখ উপস্থিত ছিলেন।