আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে সমাবেশে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা নির্বাচনের কথা বলছেন, অনেকে ইভিএমের কথা বলছেন, যাওয়া-না যাওয়ার কথা বলছেন। উনারা কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখছেন। উনারা ভাবছেন, এই সমস্ত বলতে বলতে বোধ হয় নির্বাচনের দিন পার হয়ে যাবে। ওই গান এবার হবে না।”
তিনি বলেন, “বিগত দিনে আমাদেরও দোষ আছে, আমরাও সুযোগ দিয়েছিলাম তাদেরকে এরকম একটা নির্বাচনের জন্য। আমাদের নেতাকর্মীরা কষ্ট পেয়েছে, প্রাণ দিয়েছে, জেলে গেছে।
“দুর্বৃত্তায়নের আরেকটা নির্বাচনের সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছিলাম। এবার যারা সেই স্বপ্ন দেখছেন, বৃথা স্বপ্ন দেখবেন না; এই স্বপ্ন আর পূরণ হবার নয়।”
জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি; ভোলায় নুর আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সীগঞ্জে শহীদুল ইসলাম শাওন, যশোরে আব্দুল আলিম নিহত হওয়াসহ সারাদেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মহানগর উত্তর বিএনপির পল্লবী জোনের উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পল্লবী জোনের এই সমাবেশটি ‘পুলিশি হামলায়’ পণ্ড হয়েছিল।
আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আমাদের আস্থা জনগণের ওপর। এই লক্ষ জনতার সামনে যারা দাঁড়াবে তারা ভেসে যাবে, জনগণের জোয়ারে তারা ভেসে যাবে।
“আমার শেষ কথা- রাস্তায় নেমেছি, বাড়ি ফিরে যাব না। যেদিন বাড়ি ফিরে যাব, সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশ করে বাড়ি ফিরে যাব; তার জন্য যদি প্রাণ দিতে হয়, প্রাণ দেব।”
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’র উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও সাইফুল আলম নিবর, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না ও মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসীন আলী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।