“যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ না হন, তাহলে আগামীতে আপনাদের অবস্থা হবে ছোটখাটো দোকানদারদের মত।”
Published : 31 Aug 2024, 09:18 PM
রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের বিরোধের কারণে বিভক্ত গণঅধিকার পরিষদের দুই পক্ষকে এক হওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল পর্যায়ের একদল কর্মী।
এই দাবি মানা না হলে গণ-অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই দাবি তুলে ধরেন দলটির দুই পক্ষের তৃণমূল কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আল আমিন আটিয়া বলেন, “গণ অধিকার পরিষদের তৃণমূল পর্যায়ে থেকে আমরা সংগঠনের দুই পক্ষকে আজ (শনিবার) থেকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি আলোচনায় বসার জন্য। যদি এই সময়ের মধ্যে তারা আলোচনায় না বসেন, তাহলে জাতীয় প্রেস ক্লাব বা যে কোনো জায়গায় আমরা যুব, গণ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা গণ-অবস্থান শুরু করব।”
দুই পক্ষের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ না হন, তাহলে আগামীতে আপনাদের অবস্থা হবে ছোটখাটো দোকানদারদের মত। দুই-চারজন কর্মী নিয়ে আপনাদের বসে থাকতে হবে।”
লিখিত বক্তব্যে আল আমিন বলেন, ‘৩৬ জুলাই’ অর্থাৎ ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার বার বিজয় লাভ করেছে। এই স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
“ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার স্বৈরাচারী ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশের ঐহিত্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে কলুষিত করার কারণে তারা আজ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। যা এ দেশের গণতন্ত্রের শূণ্যতা তৈরি করেছে।”
তিনি বলেন, হঠাৎ করে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হয়। যার দরুণ তৃণমূলে গণঅধিকার পরিষদের কার্যক্রম চালাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। বেশিরভাগ জেলা ও মহানগরে দ্বৈত কমিটির নেতৃত্ব থাকায় জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
“আমরা গণঅধিকার পরিষদের তৃণমূল পর্যায় থেকে এই রেষারেষি ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ করছি।”
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দুই পক্ষকে সহনশীলতা, ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতার সঙ্গে কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ার দাবি তুলে ধরেন আল আমিন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- উভয় পক্ষ ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে, অতীতের কার্যক্রম নিয়ে কোনো প্রকার টানাটানি করা যাবে না, উভয় পক্ষের মূল দলের কেন্দ্রীয় কমিটি স্থগিত করে আলোচনায় বসতে হবে।
এ ছাড়া সমাধানের পথ হিসেবে উভয় পক্ষের উদ্দেশ্যে একটি ‘রূপরেখা’ প্রস্তাব করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতিশীলতা ধরে রাখার জন্য একটি অন্তবর্তীকালীন উপদেষ্টা কমিটি ও নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ সরকারি বাঙলা কলেজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নেত্রকোণা জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি রয়েল খান উপস্থিত ছিলেন।