সরকার ও রাজনীতি যতই থাপ্ড়ানো হউক না কেন, মানুষ সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে বেড়ে উঠতে শিখেছেন এবং আরও বর্ধিত হবেন।
Published : 17 Aug 2023, 09:06 AM
অন্যায়কে ন্যায় হিসেবে প্রমাণ করতে অনেক কোশেশ লাগতেই পারে, কিন্তু ন্যায়কে যদি ন্যায় হিসেবে প্রমাণিত হতে হয়, তবে ভেবে নিতে হয় যে, 'গোঁড়ায়’ 'সমস্যা' রয়ে গেছে। আচ্ছা, আমাদের গোঁড়া-ই বা কি, আবার কথিত সমস্যা-ই বা কি? 'গোঁড়া'র কথা আপাতত তোলা থাকুক, না হয়। তবে 'সমস্যা' হচ্ছে, দুনিয়ার অন্য সব মানুষদের মতই আমরাও যে মানুষ, সেই ধারণায় বিশ্বাস বজায় না রাখা। দুনিয়ার মানুষ যে প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে, সেটা জানা ও বোঝার পরও আমরা বেবুঝের মত আচরণ করি। আমরা "হাজার বছর ধরে পথ হাঁটিতেছি, পৃথিবীর পথে..." বটে এবং ইতিমধ্যে "সিংহল সুমদ্র থেকে মালয় সাগর..." ছাড়িয়ে পৃথিবী আমাদের জন্য অনেক বিস্তৃতও হয়েছে। আমরা ইদানীং সেই মহা-পৃথিবীর মহা-পথে উঠতে চেষ্টা করছি এবং বলতেই হবে সেটা ব্যক্তি-চেষ্টার প্রতিফলন, যা বিদ্যমান দুনিয়ার অন্য সব ব্যক্তি-চেষ্টার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ: কেউ কাউকে করে দেয় না, নিজেকেই করে নিতে হয়। দেখা যাচ্ছে যে, নিজেদের এই করণীয় নির্ধারণে ব্যক্তি কোনও পিছুটানে নেই, অন্য কারও দূতিয়ালিও যাচে না কিন্তু সমষ্টি তথা সরকার/বে-সরকার তাদের করণীয় নিয়ে গর্তে পড়লেই দ্বারে দ্বারে ঢুস্ মারে এবং তখনই নাবালকত্ব ধরা পরে। নির্বাচন-প্রক্রিয়া হাস্যকর করে তুলে বর্তমান গাড্ডায় পতিত হওয়া সেই নাবালকত্বের পরিচায়ক।
গত পঞ্চাশ বছরে এ-দেশের মানুষ অনেক সাবালক হয়েছে, নিজের স্বার্থ বুঝার ক্ষমতা তার অনেক বেড়েছে, কারণ, একান্ত নিজস্ব চেষ্টায় সে জীবনের স্বাদ পেয়েছে, জীবনকে ভালোবাসতে সে প্রলুব্ধ হচ্ছে, সেই ভালোবাসার ছিটেফোঁটা অন্যকে দিতেও সে আগ্রহী হচ্ছে এবং অধিকতর স্বাদু-জীবনের ধান্দায় সে অষ্ট-প্রহর ব্যস্ত আমাদের রাজনীতি সেই সাবালকত্বকে সম্যক উপলব্ধি করতে না পারার কারণে, মানুষ তিতি-বিরক্ত হয়ে রাজনীতি-প্রক্রিয়া থেকেই নিজেকে সরিয়ে রাখছে। মানুষের এই বিচ্ছিন্নতা বিভিন্ন কারণে সর্বনেশে, অন্যতম কারণ, কখনও সার্বভৌমত্ব যদি হুমকিতে পরে তখন মিলিটারি ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যাবে না,এই যেমন '৭১-এ পাকিস্তানের-সার্বভৌমত্ব-হারানোর-প্রক্রিয়ায়, তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্বাংশের জনগণকে পাশে পাওয়া যায়নি। আজকের দুনিয়ায় যুদ্ধ করে জমি-দখল করা লাগে না, অর্থনীতি দখল এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে নিলেই চলে। পূর্বে কথিত ও বর্তমানে দৃষ্ট দূতিয়ালি, এই নিয়ন্ত্রণ ও দখলের বায়নাপত্র। হাবে-ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, কাঁটাতারের ওই-পাড় এবং আটলান্টিকের হেঁই-পাড়, বাংলাদেশের বিষয়ে আপাতত At Per (একই সমতলে), অবশ্য বাংলাদেশের মানুষও 'অ-পাড় হয়ে বসে..' নেই। এদেশীয় বুর্জোয়া এবং তাদের টাকার পরিমাণ কল্পনা করুন। এরা কি এম্নি এম্নি বসে থেকে নিজেদের কামানো টাকা এবং কামাই-যোগ্য টাকায় অন্য কাউকে ভাগ বসাতে দিবে? না, দিবে না। এরা হচ্ছে নতুন শ্রেণি যারা এদ্দিনে, দেশীয় অন্য সবার চেয়ে বেশি সক্ষম এবং বুদ্ধিমান। নিজেদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই, আগামী দিনের বাংলাদেশে এদেরকে আরও সক্রিয় থাকতেই হবে। ‘আদি-সংগ্রহ’ (Primitive-accumulation) সঞ্জাত এই বাংলাদেশী বুর্জোয়ারা, জাতীয়-বুর্জোয়া হিসেবে রূপান্তরিত হবার স্বাভাবিক ক্ষমতা (আর্থিক ও মানসিক) এবং যুক্তি (জাতীয়তাবাদ) অর্জন করেছেন। এই বুর্জোয়াদের দ্বিতীয় প্রজন্ম এখন প্রায় মাঝবয়সী, দুনিয়ার সঙ্গে পরিচিত, দুনিয়া দেখেছেন ও দেখছেন, নিজেরা অনেক কিছু ভোগ করেছেন ও করছেন এবং সেটা দেখিয়ে আত্মপ্রসাদ পেয়েছেন ও অন্যদের মিনমিনে স্বীকৃতিও আদায় করেছেন। সুতরাং, সম্পদ এবং সম্পদ-উদ্ভূত প্রাথমিক তৃপ্তি তাদের হয়েছে, পরবর্তী-পর্যায়ের তৃপ্তি তারা খুঁজছেন এবং সেই তৃপ্তি চাখবার আগ্রহে আছেন। এখনই যদি এদেরকে তাদের কাঙ্ক্ষিত-তৃপ্তির সঙ্গে জাতীয়-প্রয়োজন সমূহের সংযোগ ঘটিয়ে না দেয়া যায়, তবে এদের সম্পদগুলো হয় বিদেশে আরও পাচার হবে নয়তো দেশে কম-লাভজনকভাবে ব্যবহার হবে।
প্রথম মহাযুদ্ধের শেষ থেকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরু পর্যন্ত, জাপানি-অর্থনীতির যে বিস্ময়কর পরিবর্তন, সেটার অন্যতম কারণ হিসেবে 'জাইবাতসু' (Zaibatsu) তথা 'সম্পদশালী-গোষ্ঠী'র অবদান স্বীকার করা হয়। ভারী-শিল্প, কারখানা, ব্যঙ্ক, বাণিজ্য ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোষ্ঠী-কে সুযোগ করে দেয়া হয়: সুমিতমো (Sumitomo), মিটসুই (Mitsui), মিটসুবিশি (Mitsubishi) এবং ইয়াসুদা (Yasuda)—এরা ছিল সেই জাইবাতসু, যারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনেন এবং রাজনীতির সঙ্গেও সম্পর্কিত থাকেন। দুনিয়ায় তারা কি অবদান রেখেছেন সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু জাপানে তাদের অবদান খোদ জাপানিদের দ্বারা স্বীকৃত।
এবার বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত। পূর্বেই বলা হয়েছে যে আমাদের দেশীয় বুর্জোয়াদের হাতে বিস্তর টাকা রয়েছে, তারা অভিজ্ঞ হয়েছেন এবং তাদের দূরদৃষ্টি খুলেছে...অন্যদিকে, আমাদের দেশীয়-সরকারের হাতে যে পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রয়েছে, তার লাভজনক ব্যবহারে সরকার এখনও পারঙ্গমতা দেখাতে পারেনি। যেমন দেখুন, বিভিন্ন সরকারি করপোরেশন তথা সংস্থা যেমন: কেমিক্যাল, সুগার, স্টিল, জুট, পানি, রেল, জ্বালানি ইত্যাদির নিয়ন্ত্রণে যে পরিমাণ ভূ-সম্পত্তি ও ভূমির উপর অকেজো অথবা অল্প-কেজো স্থাপনা-সমূহ রয়েছে, সেগুলোর নতুন ও অধিক-লাভজনক ব্যবহারের কথা ভাবতে বাঁধা কোথায়? এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতেই, এদেশেীয় টাকার মালিকদের জাতীয়-বুর্জোয়া-শ্রেণি হিসেবে আত্মপ্রকাশে উৎসাহ দিতেই বা কোথায় বাঁধা। এই দুইয়ের সংযোগ ঘটালে যে বিস্ফোরণ হবে, তার প্রভাব ক্রমশ ছড়িয়ে পরে, ছোট ছোট বিস্ফোরণের দ্বার উন্মুক্ত করতে, আমার ধারনায় আর একটি মাত্র সুবিধা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে: সরকার দ্বারা,জনগণের পয়সায়, ছাপ্পান্ন-হাজার বর্গ-মাইলের উপর ইন্টারনেটের চাঁদোয়া মেলে দেয়া।
এবারের (২০২৪) নির্বাচন তথা ম্যান্ডেট নিয়ে 'দূতিয়াল'দের যে আগ্রহ, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে সম্পদের আবাহন। এ দেশের অরক্ষিত সম্পদ যতটা সহজে হাতানো সম্ভব, অন্য কোথাও তেমন নয়। আর সহজ হলেই বা কি? সম্পদ তথা অর্থের লোভ কার নেই এবং বিশেষ করে অর্থের সর্বগ্রাসী-ক্ষমতা যারা উপভোগ করেছেন, তারা তো আরও অর্থ চাইবেনই। আমাদের যা গেছে তা হয়তো একদমই গেছে কিন্তু যা রয়েছে এবং যা হবে, সেটাকে ধরে রাখতে হোলে, বিভিন্নরূপ কাঁটাতারের-বেড়া দৃঢ় থাকতে থাকতেই সম্পদকে আত্মস্থ করে নিতে হবে। এই দিনকে যদি সেই দিনের কাছে যদি নিয়ে যেতেই হয়, যেখানে পৌছার জন্য এদেশের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে সক্রিয় রয়েছেন, সে দিনের দিকে না তাকিয়ে, আমাদের দেশীয় রাজনীতি শুধু হাত-কচলাচ্ছে এবং কখনও কখনও হাতকড়া পরাচ্ছে। এ কেমন অর্বাচীনতা?
সেই আদ্যিকাল থেকে মাঝে-মাঝে একটা শোর উঠে 'গেল, গেল...নিল নিল'। অনেক কিছুই এই শোর-এর অন্তর্ভুক্ত, তবে সেসবের মধ্যে যেটা বেশ চমকপ্রদ, সেটা হচ্ছে: সেন্ট মারটিনস্ আইল্যান্ড! ওই দ্বীপকে স্বাধীনতার আগে থেকেই আমেরিকা নিয়েই যাচ্ছে...। যাচ্ছে যাক, তবে যদ্দিন আছে, তার মধ্যে আগামী ৩০ বছরের জন্য ওই দ্বীপকে, বাংলাদেশী বুর্জোয়াদের কাছে লিজ দেয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। উনারা মাঝেমধ্যে ওখানে যেয়ে ইহলৌকিক স্বাদ-আহ্লাদের কিছু অংশ পুরিয়ে, আবার ফেরত আসবেন। নিজেদের খরচে উনারা ওই দ্বীপকে নিজেদের মত সাজিয়ে নিয়ে ওখানে জোরে-গাড়ি-চালাবেন, বেদম জোরে গান বাজাবেন, জোড়ে সমুদ্র-স্নান করবেন, জ্বরে আরক খাবেন, জোড়-বেজোড়ে হুল্লোড় করবেন, দেশী-বিদেশী শিল্পী এনে কনসার্ট মাতাবেন এবং রাতে শোবার আগে এই সমস্ত সুবিধাদি পরলোকেও বজায় রাখার জন্য দোয়া করবেন। বুর্জোয়াদের একত্র হবার জন্য ওই দ্বীপকে বুর্জোয়া রূপান্তর এলাকা (Bourgeoisie Consolidating Zone) হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার কথা ভাবতে অসুবিধা কোথায়? একথা তো সত্য যে, উনাদের ক্ষমতা যেহেতু বেশি, তাই খাই-ও ভিন্ন। সেই ভিন্ন খাই মেটানোর ব্যবস্থা দেশের এক অংশে, জনসমক্ষের বাইরে করে দিতে অসুবিধা কোথায়?
বিশেষ করে '৪৭ এর পর থেকে ক্রমশ নিজস্বতা অর্জনের যে চেষ্টা এই ভূখণ্ডে চলে এসেছে এবং '৭১-এ যেটার উল্লম্ফন ঘটেছে, তার ক্রমধারায় এই ভূখণ্ড এখন পরবর্তী লম্ফের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত, দরকার শুধু সহায়ক পরিবেশ, যেটা বজায় রাখার দায়িত্ব সরকারের তথা রাজনীতির। কাজটা মোটেও সহজ নয়, তবে অসম্ভবও নয়, কারণ আমরা তো জানিই যে 'বাংলাদেশ হচ্ছে, সব সম্ভবের দেশ'। নিত্য-মরার এই দেশে মৃত্যু কোনও বিশেষ ঘটনা নয়, তাই 'দেশের-জন্য- জীবন-দিন' মার্কা কোনও কথা আর আবেদন তৈরি করে না। মানুষের মৃত্যু কোনও ফয়সালাও আনে না, যা হয় তা হচ্ছে এই মওকায়, যারা নিত্য-মরার অভিজ্ঞতাহীন, তারা আহা-উহু করে তড়িঘড়ি একটা ব্যবস্থা করে মৃত্যু-ঠেকানোর বাহবা নিয়ে, বিনিময়ে কিছু সয়-সুবিধা আদায় করে নেয়। এই যদি আমাদের নিকট-ইতিহাস হয়ে থাকে, তবে, যে সুবিধা আমরা বিদেশীদের দিতে প্রস্তুত, সেটারই রকমভেদ দেশীদের দিলে অসুবিধা কোথায়? এবং দেশ-শাসনে বিরোধীদের কোনও এক ধরনের অংশীদারিত্ব দিতেই বা বাধা কোথায়? বিরোধীরা কি ধরনের অংশীদারিত্ব চাইছেন এবং কি ধরনের অংশীদার পেতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা তো হতেই পারে? সাতই মার্চ "এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম" বলার পরও আলোচনা তো চালুই ছিল! সুতরাং আলোচনা হওয়াই উচিত এবং সেটা সংসদ-টিভি মারফত এ দেশের জনগণকে দেখানোও উচিত।
শোনা যায়, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেন: 'বিরোধীদের নিয়ে আপনি কি করবেন? ওদেরকে কিছু আসন ছেড়ে দিন না!' জনগণের-ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করার যে সাংবিধানিক পন্থা, সেটা এখনও যথেষ্ট সুগম না হওয়ায়, জ্ঞানতাপসের সেই প্রশ্ন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর, আজও তার উত্তর খুঁজছে! আমাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে যে সংসদ তথা আইনসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ বিধান হয়েছিল, সেই একইভাবে, বিরোধীদল, উপজাতীয়, ধর্মীয়-সংখ্যালঘু, ব্যাবসায়ী, মিলিটারি ইত্যাদি শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এবং সংসদ-সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, পরিমার্জিত-সংসদ তো হতেই পারে! কেন নয়? অনেকেই বলবেন, 'এমন নজির দুনিয়াতে নেই', সেই বলুয়াদের এটাও মনে রাখা উচিত হবে যে 'এমন বাংলাদেশও দুনিয়াতে নেই'!
সরকারের মত এমন একটি যম-কালো প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থেকে এবং রাজনীতির মত চম্কানো একটি ব্যাবস্থার সঙ্গে বসবাস করার পরও, এ দেশের মানুষ ইতিমধ্যেই যা করতে সক্ষম হয়েছেন, তাতে এটা বলাই যেতে পারে যে, সরকার ও রাজনীতি যতই থাপ্ড়ানো হউক না কেন, মানুষ সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে বেড়ে উঠতে শিখেছেন এবং আরও বর্ধিত হবেন। সেই বাড়তির পথে যারাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেন তারাই ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’তে দিশাহারা হয়ে ফয়েয আহমদ ফয়েয-এর ‘হাম দেখেঙ্গে’ কবিতা ও গান-টি স্মরণ করে লজ্জা পাবেন।