নারী উন্নয়ন ও বাংলাদেশে নারীবাদ

প্রীতিলতা দেবী
Published : 23 May 2021, 10:08 AM
Updated : 23 May 2021, 10:08 AM

নারীর অধিকার বা নারী উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে গেলে শুরুতেই পাঠক ধারণা করে বসতে পারেন এখানে মূল আলোচনা নারীবাদ নিয়ে। আমার লেখার প্রসঙ্গ– বাংলাদেশের সার্বিক নারীর অধিকারের সমতা এবং বাংলাদেশে নারীর উন্নয়নের ধারা। সেক্ষেত্রে সঙ্গতকারণেই 'নারীবাদ' আলোচনায় চলে আসবে বলে আমার ধারণা। 

নারীবাদ আমার কাছে একটি তত্ত্ব, একটি দর্শন, একটি বোধ, একটি সামাজিক অবস্থান। তবে এও ঠিক যে, নারীবাদ-এর সংজ্ঞাকে এক লাইনে বা কয়েকটি শব্দে ব্যাখ্যা করা জটিল। সেক্ষেত্রে আমি নিজেকে নারীবাদী না বলে বরং মানববাদী হিসেবে দাবি করতে বেশি পছন্দ করি। কারণ আমি মনে করি নারীবাদ- এর বিষয়বস্তু এবং মানববাদের বিষয়বস্তু-এর মধ্যে কোন তফাৎ নেই। মানবতাপূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠাই নারীবাদের মূল লক্ষ্য। নারীবাদ তত্ত্বের জন্ম হয়েছে মূলত লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনের কারণে। এ বিভাজনকে সমাজ থেকে বাদ দিতে পারলে পরিষ্কার দেখা যায় মানববাদ-এর দাবি এবং নারীবাদীদের আর্জি মূলত এক। 

নারীবাদ আর দশটা তত্ত্বের মতই চলমান, পরিবর্তনমুখী বা রূপান্তরের আদর্শে গড়ে ওঠা একটি দর্শন। এটি একটি শক্তির নাম যা অনুধাবন করার কথা সকল নারী পুরুষের। এ সংগ্রামের একটি একক দর্শন হিসেবে আবির্ভাবের বয়স খুবই অল্প। উনিশশ শতাব্দীর শেষের দিকে 'নারীবাদ' শব্দটি উচ্চারিত হতে শুরু করে। যদিও এই সময়ের অনেক আগে থেকে নারী তার বঞ্চনা আর অধিকারহীনতার কথা বলে আসছেন। নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন এর দাবি শত শত বছর ধরে করে আসছে্ন তারা। কথা বলে চলেছেন বিভেদ ও বৈষম্যের অবসানের। যে বৈষম্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজকতৃক সৃষ্ট, সেখানে সমাজে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই শক্তিকে নারী-পুরুষ সকলে নিজেদের মধ্যে ধারণ করবে- এ আশা নিয়েই নারীবাদ তাদের সার্থকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

বাংলাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস শুরু হয়েছিল বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের হাত ধরে। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফল আজকের নারীবাদের বলিষ্ঠ স্বর। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বেগম রোকেয়া লৈঙ্গিক বৈষম্যের প্রতিবাদে সোচ্চার থেকেছেন। তার এবং পরবর্তী নারী অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া সকল নারীবাদীদের অবদান কতটা মনে রাখতে পেরেছি আমরা? সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই বা কতোটা অবদান রাখতে পেরেছে নারীবাদিতা?

বেগম রোকেয়ার শুরু করা প্রচেষ্টায়, দেখিয়ে দেওয়া সে পথে হেঁটে আমরা যতটুকু সফলতা অর্জন করেছি সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব একটা নগণ্য নয়। তবে এ অল্প পথ পাড়ি দিতেই আমাদের সময় লেগে গেছে প্রায় এক শতাব্দী। নারী আজ অন্ধকার হেঁশেল থেকে বাইরে বের হয়ে এসেছেন। ঘরে বাইরে সমান ভাবে তাদের পদচারণা। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন আজকের নারীরা। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান তালে কায়িক পরিশ্রম করছেন তারা সর্বক্ষেত্রে । কৃষিতে, শিল্পে, গার্মেন্টসে, ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে সর্বত্র আজ নারীদের অংশ আশা জাগানিয়া। কিন্তু এ শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়েছে কিনা সেটি আজ সমাজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। 

গত ২০ বছরে বাংলাদেশে নারী শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের সিংহভাগ বর্তমানে পোশাক শিল্পে শ্রম দিচ্ছেন। 'মানুষের জন্য' ফাউন্ডেশনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ শতাংশ নারী শ্রমিক পোশাক কারখানায় যৌন হয়রানি সহ নানারকম প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অনানুষ্ঠানিক খাতে বৈষম্য, স্বীকৃতিবিহীন নারী শ্রম, পারিবারিক বোঝাপড়ার অভাব ইত্যাদি সব মিলিয়ে নারী শ্রমিকরা বাংলাদেশে সমসাময়িককালে সর্বাধিক রূপে অবহেলিত।

ফরাসি বিপ্লবের অন্যতম জেনারেল নেপোলিয়ান বেনোপোর্ট বলেছিলেন "তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিবো।" বাণীটি সবার জানা থাকলেও কথাটির গূঢ় অর্থ আমরা আত্মস্থ করতে পারিনি। পারলে সমাজে মেয়েদের আমরা সঠিক সম্মান প্রদর্শন করার চেষ্টা করতাম।

বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র পরিবারের শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এবং শ্রেণিকক্ষে দরিদ্র শিশুদের উপস্থিতি বাড়ানো ও ঝরে পড়া কমাতে ২০০২ সাল থেকে উপবৃত্তি চালু করে। সেসময় শিক্ষার্থীদের মাসে ১০০ টাকা করে উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়। পরিবারে একাধিক ভাইবোন থাকলে যার পরিমান ছিল ১২৫ টাকা। দুই দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ উপবৃত্তি হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাসে ১০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১২০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পায় ১৫০ টাকা। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে মাসে ১৫ টাকা টিউশন ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে যা ২০ টাকা। এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ফি বাবদ বার্ষিক এককালীন ৭৫০ টাকা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি শ্রেণিতে মোট ছাত্রীর ৩০ শতাংশ এবং মোট ছাত্রের ১০ শতাংশ এ উপবৃত্তি নেবার সুযোগ করে দেয় সরকার। উপবৃত্তির আওতায় বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী মাসিক বৃত্তি ১৭৫ টাকা ও টিউশন ফি বাবদ ৫০ টাকা পায়। পাশাপাশি বই কেনা ও পরীক্ষা ফি বাবদ এককালীন ১ হাজার ৬০০ টাকা পায়। অন্যান্য বিভাগের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী মাসে ১২৫ টাকা বৃত্তি ও ৫০ টাকা টিউশন ফি পায়। এককালীন বই কেনা ও পরীক্ষা ফি বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা উপবৃত্তি পায়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়নরত মোট ছাত্রীর মধ্যে ৪০ শতাংশ এবং ছাত্রদের মধ্যে ১০ শতাংশের এ উপবৃত্তি নেওয়ার সুযোগ আছে। বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসে ১০০ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাসে ১৫০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত খোলা হয়েছে, সেসব স্কুলের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ২০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। 

মাধ্যমিকেও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে স্নাতক (পাস) কোর্সের শিক্ষার্থীদেরকেও উপবৃত্তি দেওয়া হয়। বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে ৪০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্রকে এ উপবৃত্তি গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে বিস্তারিতভাবে উপরোক্ত তথ্যগুলোর বিবরণ দেওয়া হল।

শিক্ষা অধিদপ্তরের 'অ্যানুয়াল রিপোর্ট অন পাবলিক ইন্সট্রাকশন ফর দ্য ইয়ার ১৯৭০-৭১' প্রতিবেদন অনুসারে, সে সময়ে দেশের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ছিল ২৮ শতাংশের কিছু বেশি। সরকারের শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে যা বর্তমানে (ছাত্রীর হার) প্রায় ৫১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকেও সর্বমোট শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষার্থী ছাত্রী। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেয়েদের হার সে তুলনায় কম, যা কিনা সর্বমোট সংখ্যার ৩৮ শতাংশ। এই বিস্তারিত তথ্যগুলো থেকে মেয়েদের স্কুলে ভর্তির হার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। 

উপবৃত্তির মাধ্যমে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য সরকারের উৎসাহিত করা সত্ত্বেও সামাজিক, পারিবারিক জটিলতার শিকার হয়ে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়। যারা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার যাও বা সুযোগ পায়, পরবর্তীতে ধর্মীয় অনুশাসন,বাল্যবিবাহ, আর্থিক সংকটের অজুহাত, অধিক রক্ষনশীলতা বা পরিবারে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়ে তারাও হারিয়ে যায় অন্ধকারে। 

যেখানে মেয়েদের স্বাবলম্বী হবার পথে, নারী মুক্তির পথে শিক্ষার বিকাশই একমাত্র উপায় জানা সত্ত্বেও দেশের নারী সমাজের একটি বড় অংশ আজ লক্ষ্যহীন, সংসারের জালে বাঁধা। যেখানে নারীবাদের একজোট হয়ে কাজ করার কথা এসব লক্ষ্যভ্রষ্ট নারীদের পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে, সেখানে বাংলাদেশের নারীবাদিতা আজ নিজেই পথহারা। সম্প্রতি নারীবাদ নিয়ে কথা বলা অধিকাংশ বাংলাদেশী নারীবাদীকেই দেখা যায় এ দর্শনকে একটি বিলাসিতার তত্ত্বে পরিণত করতে। সমসাময়িককালীন নারীবাদ যেন শুধু শহরের অবস্থাসম্পন্ন, সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির নারীদের জন্য। যেখানে তাদের শিক্ষা, স্বাধীনতা, প্রগতিশীলতা সকল সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য উড়ানের বড় ক্ষেত্র তৈরি এবং অধিকার আদায়ে সহায়তা করতে পারত,সেখানে নারীবাদ তত্ত্ব যেন এদের হাতে এসে সংজ্ঞাহীন এক ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে।  

মূলধারায় নারীবাদ নিয়ে চর্চা বা চর্যা হলেও, প্রকৃতপক্ষে নারীদের অধিকার নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত, নিম্নবিত্ত বা মাঠ পর্যায়ে নারী শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা বা তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় খুবই কম। আমাদের সমাজ, পারিপার্শ্বিকতা, ধর্মের বাঁধাকে ডিঙ্গিয়ে নারী শিক্ষায় রাষ্ট্রের দেওয়া সুবিধাদি কতটুকু পৌঁছে দিতে পেরেছে আজকের নারীবাদ?

নারীদের সহজেই বেঁধে ফেলা যায় চার দেয়ালে, ধর্মের ভয় দেখিয়ে তাদের প্রতিহত করা যায়। আমার গবেষণার প্রথম থেকেই যে ব্যাখ্যা আমি নিজে উপলব্ধি করেছি, তা হল– কোন ধর্মই নারীবাদকে সমর্থন করে না। ধর্ম এবং নারীমুক্তি, আদতে দুটি বিপরীতমুখী দর্শন। নারীকে বাহিরবিমুখ করাই সকল ধর্মের একটি মৌলিক উদ্দেশ্য। সংখ্যাগরিষ্ঠ ধার্মিক মাত্রই উগ্র এবং নারীর অধিকারে অসচেতন, হোক সে বাংলাদেশ কি আমাদের প্রতিবেশীদেশের উগ্রবাদিতা।  অথচ সব বুঝেও বাংলাদেশ যেন দিন দিন এক অন্ধকূপের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যার থেকে আলোতে উঠে আসার সকল পথ আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছি।

নারীবাদ-কে পুরুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না ভেবে, নারীকে নিজের প্রতিদ্বন্দী না ভেবে প্রত্যেক পুরুষের উচিত নিরপেক্ষভাবে বাড়ির নারীটির জায়গায় নিজেকে একদিনের জন্য দাঁড় করানো। সমাজ-সংসার ও বৃহত্তর সভ্যতা বিনির্মাণে নারী-পুরুষের সমগুরুত্ব সম্যকভাবে বোঝাতে বেগম রোকেয়া একটি গাড়ি চলতে দুটি চাকার সমান ভূমিকার কথা বলে গেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিয়ে যে গাড়ি কিনা এক পা-ও এগোনো সম্ভব না। তাই সহযোদ্ধা হয়ে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায়। প্রকৃতি যেখানে নারীদের সম্মানিত করেছে মা হবার বাড়তি অধিকার দিয়ে, সেখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অবস্থানকে বাধাগ্রস্থ করার অসদুদ্দেশ্য খুবই বেমানান। তবু যুগের পর যুগ তাই মেনে নিয়ে সমাজের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে, তার থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি। বর্তমান সমাজের বিকৃত মানসিকতা থেকে যদি পরবর্তী প্রজন্মকে আমরা প্রকৃতই বাঁচাতে চাই, তাহলে আগে নারীদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রসর হতে হবে। নারীকে বস্তাবন্দী করে যা কোনদিনও হাসিল করা সম্ভব হবেনা।