Published : 07 Nov 2019, 12:23 PM
প্রায় বাংলাদেশের সমান বয়সী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের অন্যতম সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আটের দশক পর্যন্ত লেখাপড়ার মানের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা একটা সুনাম ছিল। কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, গত কয়েক বছর ধরে কখনও ছাত্ররাজনীতির কারণে সংঘর্ষ-হানাহানি, কখনও শিক্ষক-রাজনীতির কারণে কলহ-কোন্দল, উপাচার্য পদ নিয়ে দলাদলি, অনিয়ম-দুর্নীতি, ছাত্রীনিপীড়ন-ধর্ষণ, কখনও শিক্ষক-লাঞ্ছনা, কখনও-বা জাতীয় রাজনীতির স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘন ঘন সংবাদ-শিরোনাম হচ্ছে। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যধন্য, শান্ত-স্থিত, লেখাপড়া-গবেষণা-ক্রীড়া-সংস্কৃতির সাধনায় মগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ভাবমূর্তি বারে বারে কালিমালিপ্ত হচ্ছে। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, শিক্ষা, গবেষণা এবং বিদ্যাচর্চা ছাড়া সব কিছুই এখানে হচ্ছে সুনিপুণভাবে!
সর্বশেষ গত ৫ নভেম্বর উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে দিয়ে মেরে-পিটিয়ে 'অস্থিতিশীল' হয়ে পড়ার কারণ দেখিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন চলছিল। উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বও হয়েছিল। সেসব ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত না করে তাকে দায়িত্বে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার মোটেও ঠিক কাজ করেনি। তিনি নিজেও নৈতিক কারণে পদত্যাগ করতে পারতেন। সে পথে না হেঁটে তিনি বরং নিজের পাপকে অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চড়াও হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যারা তাঁর সন্তানের মতো, তাদের তিনি ছাত্রলীগ নামধারী ঠ্যাঙারে বাহিনী দিয়ে দমন করেছেন। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে 'মুক্ত' করাকে 'গণঅভ্যুত্থান' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মানুষ হিসেবে তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য হিসেবে তার কতটা নৈতিক অবক্ষয় হলে ছাত্রলীগের এমন একটি জঘন্য কাজের পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন, এমন নির্লজ্জ মন্তব্য করতে পারেন, সেটা ভাবলে সত্যিই বিস্ময়বোধও লুপ্ত হয়ে যায়!
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, গত দুই দশকে এখানে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন, উপাচার্য, আর পুলিশ একাকার হয়ে গেছে। সরকারি দলের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল-সন্ত্রাস, ছাত্রী নিপীড়নসহ নানা অপকর্মের ফলে এক ভয়াবহ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী হয়ে উঠলেই নেমে আসে দমন-পীড়ন-নির্যাতন। তখন পুলিশ এসে অপকর্মকারীদের প্রটেকশন দেয় আর প্রতিবাদীদের ঠেঙিয়ে শায়েস্তা করার চেষ্টা করে। আর উপাচার্য হয়ে ওঠেন এসব কু-নাট্যের নাট্যকার!
আমরা জানি উপাচার্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি সকলের সাহায্য-সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। এটাই তার দায়িত্ব। অথচ এখানকার উপাচার্যরা সেই কাজটি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর শিক্ষকরাও কম সরেস নয়। তারাও উপাচার্যকে 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণা করে দিনের পর দিন মাসের মাস বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে রাখেন। দেখা গেছে উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতি-ক্ষমতার অপব্যবহার, অযোগ্যতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবির চেয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দিকেই শিক্ষক সমিতির মনোযোগ বেশি। শিক্ষক সমিতির আন্দোলন ও কর্মকাণ্ড ক্রমশ স্ববিরোধী হয়ে ওঠে এবং যুক্তিহীন স্বেচ্ছাচারিতায় রূপ নেয়। উপাচার্যের পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকাও পুনর্মূল্যায়ন করে দেখার সময় এসেছে।
আমরা বিশ্বাস করি, সমাজের অগ্রসর ও 'শ্রেষ্ঠ মানুষ' হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন। হিংসায় উন্মত্ত, ক্ষমতার নেশায় বিভোর, স্বার্থোদ্ধারের চেষ্টায় যখন সমাজের বেশিরভাগ মানুষ ব্যাকুল, তখন ক্ষুদ্রতামুক্ত লোভ-মোহ-সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রুখে দাঁড়াবেন। সাধারণ মানুষকে পথ দেখাবেন।
দেশের অন্যত্র যাই ঘটুক, অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দিতে কোনো অন্যায়, পক্ষপাত, নীতিগর্হিত কাজ তারা হতে দেবেন না। এ জন্য প্রয়োজনে তারা বুকের রক্ত দেবেন। প্রাণ উৎসর্গ করবেন। যুগে যুগে আমাদের সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাই করেছেন। ন্যায়ের জন্য, অধিকারের জন্য, শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে কখনও তারা কুণ্ঠিত হননি।
কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। সমাজের সার্বিক অধঃপতন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও গ্রাস করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই এখন আর দশজন সাধারণ মানুষের মতোই লোভী, ধান্দাবাজ ও হিংস্র হয়ে উঠছেন। স্বার্থোদ্ধার, সুবিধা আদায় আর ধান্দাবাজিতে তারা অনেকে এখন অধম হয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানে নির্লোভ-নির্মোহ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার জ্ঞানতাপস– এই ধারণা এখন আমূল বদলে গেছে। আর দশজন সুবিধাবাদী নষ্ট মানুষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পার্থক্য করা কঠিনতম বিষয়ে পরিণত হয়েছে!
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধানও তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে। এই বিধি অনুযায়ী দলবাজির মহড়ায় পাস না করলে নিয়োগ, বদলি, প্রমোশন ইত্যাদি পাওয়া যায় না। এ ব্যবস্থায় শিক্ষকরা অসন্তুষ্ট বলেও মনে হয় না। তারা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পদ-পদবি, সামান্য একটু সুযোগ-সুবিধা এবং প্রমোশনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। এ জন্য তারা দলবাজিই শুধু নয়, 'অশিক্ষিত' 'অর্ধশিক্ষিত' রাজনৈতিক নেতাদের পা চাটতেও কুণ্ঠিত হন না। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা– অবশ্যই সবাই নয়, তবে বেশিরভাগই দলবাজি নিয়ে মত্ত থাকেন, একটু সুযোগ-সুবিধা, পদ-পদবি-প্রমোশনের ধান্দায় সারাক্ষণ ব্যস্ত সময় কাটান।
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হচ্ছে, আত্মমর্যাদা, আত্মসম্মান, নীতিনৈতিকতা-আদর্শ ভুলে এক শ্রেণির শিক্ষক অধ্যাপক, প্রক্টর, বিভাগের প্রধান, অনুষদের ডিন, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ইত্যাদি পদ বাগাতে রাজনৈতিক দলের প্রতি 'লেজ নাড়তে' থাকেন। তাদের অনেকে শাসক দলের 'গৃহভৃত্য' হতেও কোনো গ্লানি বা অনুশোচনা বোধ করেন না। অধঃপতনের এ এক চূড়ান্ত অবস্থা! শিক্ষক রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন এমন 'বাঁদরের সার্কাসই' চলছে।
এভাবে একটি দেশ, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এখানে শিক্ষকদের কোনো জবাবদিহি আছে কী? বছরে কটা ক্লাস নেন, কটা বই লেখেন, কটা আর্টিকেল পাবলিশ করেন, বিদেশি জার্নালে তাদের কটা লেখা প্রকাশিত হয়– এসব নিয়েই একজন শিক্ষকের পরিচয়। এসবের হিসেব কি কেউ নেয়? সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন, প্রশাসন– কেউ কি এসবের খবর নেয়?
ছাত্র আর শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চরম সর্বনাশের পথে এগিয়ে চলেছে। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ছিল: যে-বিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যার চর্চা হয়। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দাঁড়িয়েছে- যেখানে বিশ্ববিদ্যা লয় প্রাপ্ত হয়!
শিক্ষকদের মধ্যে উপদলীয় কোন্দল কমবেশি সব সময়ই ছিল, কিন্তু এই আগুনে ঘি পড়ে ১৯৭০-এর দশকের গোড়ায়, বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন আইন পাসের মাধ্যমে। ধারণাটা প্রগতিশীল ছিল নিঃসন্দেহে। কিন্তু অপচর্চার ফলে এই আইন থেকে তেমনি বিশ্ববিদ্যা চর্চার ধারাটাই লুপ্ত হয়েছে। প্রথম কয়েক বছর এই বিষবৃক্ষে ফল ধরেনি। কিন্তু বিভাগীয় কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করার জন্য, ডিন হওয়ার জন্য, উপাচার্য হওয়ার জন্য দলীয় সমর্থক বাড়ানোর প্রয়াস যখন বেড়ে গেল, তখন এই বিষবৃক্ষে ফল ধরতে আরম্ভ করল। ফলের ভারে বৃক্ষটিই এখন ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
''বেশির ভাগ শিক্ষকই নিযুক্ত হন বিভাগের সদ্য পাস করা ছাত্রদের মধ্য থেকে। কিন্তু সবচেয়ে ভালো ছাত্রটি যে নিজের দলের সমর্থক হবে— এমন গ্যারান্টি তো নেই। কাজেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক ভালো ছাত্র বাদ পড়লেন। নিযুক্ত হলেন দলীয় সমর্থকেরা। এই সমর্থকেরা বেশিরভাগই কম যোগ্যতাসম্পন্ন। কেউ কেউ রীতিমতো অযোগ্য। তাদের ছাত্ররা লেখাপড়া শিখল তাদের থেকেও কম। এখন সদ্য পাস করে যারা শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছে, তারা প্রথম যারা দলীয় বিবেচনায় নিযুক্ত হয়েছিলেন সত্তরের দশকে, তাদেরই নাতি-নাতনি—তৃতীয় প্রজন্মের খারাপ ছাত্র। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে দলাদলির আখড়ায়। দলাদলি বিভাগে, ফ্যাকাল্টিতে, শিক্ষক সমিতিতে, সিনেট নির্বাচনে। এমনকি ছাত্রদের ফলাফল নিয়েও দলাদলি। কারণ, অনুগত ছাত্রকে প্রথম শ্রেণি দিয়ে দিতে পারলে তাকেই আবার বিভাগে নিয়োগ দিয়ে নিজের দল ভারী করা যায়।'' এভাবে শিক্ষক-রাজনীতি বিশ্ববিদ্যা লয় করার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বেশ কয়েক বছর আগে একজন প্রবাসী গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুরবস্থা ঘোচানোর জন্য কিছু উপায় বাতলেছিলেন। এগুলো হচ্ছে:
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন অনির্বাচিত পণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি কোনোক্রমে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবেন না; উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সমর্থক হবেন না; সরকার বদলের সঙ্গে উপাচার্য বদল হবেন না। কাজ করবেন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য; ডিন হবেন এক বছরের জন্য, একেকটা বিভাগ থেকে রোটেশনের মাধ্যমে। নির্বাচন হবে না; বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র তিন-চারজন শিক্ষক রোটেশনের মাধ্যমে বিভাগের সভাপতি হবেন। প্ল্যানিং কমিটিতে থাকবেন তারাই। বিভাগের সম্প্রসারণ দরকার আছে কি না, তারাই তা ঠিক করবেন; বিভাগের শিক্ষকসংখ্যা এমন হবে, যাতে প্রত্যেক শিক্ষক সপ্তাহে গড়ে সাত-আটটি লেকচার দিতে বাধ্য হন এবং সমানসংখ্যক টিউটরিয়াল ক্লাসও নেন; শিক্ষকেরা যাতে গবেষণা করার সুযোগ পান, তার জন্য প্রতি তিন বছর পরে এক বছর গবেষণা-ছুটি পেতে পারেন; চাকরির উন্নতির ক্ষেত্রে সত্যিকার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। খবরের কাগজে প্রকাশিত লেখা গবেষণামূলক বলে গণ্য হবে না; দ্বিতীয় পরীক্ষক অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হতে হবে। নম্বরে দশের বেশি পার্থক্য থাকলে তৃতীয় পরীক্ষক উত্তরপত্র পরীক্ষা করবেন; ব্যাঙের ছাতার মতো যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে, তাদের সংখ্যা কমাতে হবে; মান যাচাই করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দিতে হবে; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতার দ্বিতীয় পরীক্ষক হবেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকেরা; বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলের শাখা থাকতে পারবে না।
এমন আরও অনেক সুপারিশই করা যায়। কিন্তু আপাতত উল্লিখিত সুপারিশগুলো পালন করলে কিছুটা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রশ্ন হলো: বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে?