Published : 30 Mar 2022, 05:48 PM
গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রথম আইন করা হয় ১৯৭৪ সালে- The Newspaper Employees (Condition of Service) Act 1974। তখন গণমাধ্যম বলতে ছিল শুধু সংবাদপত্র। রেডিও এবং টেলিভিশন ছিল শুধু সরকারি, তাদের জন্য আলাদা আইন ছিল। কাজেই ১৯৭৪– এর আইনটি কেবল সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য।
২০০৬ সালের ১১ অক্টোবর বিএনপি–জামায়াত সরকার ক্ষমতা ছাড়ার কয়েকদিন আগে শ্রম আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বিপদে ফেলে এই আইনটি বাতিল করে যায় (শ্রম আইন ২০০৬–এর ৩৫৩(১)(ভ) দ্রষ্টব্য)।
শ্রম আইনে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলা হয়েছে, সংবাদপত্র শ্রমিক (শ্রম আইন ২০০৬–এর ৭২ ধারা)। সেখানে আবার অনলাইন এবং ব্রডকাস্ট অর্থাৎ রেডিও–টেলিভিশন কর্মীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
কার্যত, ২০০৬ সাল থেকে গত ১৬ বছর ধরে সংবাদপত্রের কর্মীরা আর সাংবাদিক নন, সংবাদপত্র শ্রমিক। অনলাইন এবং রেডিও–টেলিভিশনের কর্মীরা তাও নন, স্রেফ শ্রমিক। অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা যেমন শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি প্রমুখের ক্ষেত্রে কিন্তু আইনটি আলাদাই থাকলো। কেবল গণমাধ্যমের বুদ্ধিবৃত্তি আর শ্রমের মধ্যে কোনো ফারাক থাকলো না।
অথচ শ্রম আইন পাসের কয়েক বছর আগে থেকেই বেসরকারি রেডিও–টেলিভিশন এবং অনলাইন গণমাধ্যম চালু হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক হাজার কর্মীসহ পুরো গণমাধ্যমের পেশাজীবীরা এক ধাক্কায় শ্রমিক হয়ে গেলেন।
২০০৯ সাল থেকে শ্রম আইন কয়েক দফা সংশোধন করা হয়, ২০১৫ সালে শ্রম আইনের বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদেরকে শ্রমিক করেই রাখা হলো।
বাতিল হয়ে যাওয়া সংবাদপত্র কর্মী আইন সংশোধন করে আবার চালু হওয়া জরুরি ছিল। এই প্রক্রিয়ারই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকর্মী আইনের একটা খসড়া অনলাইনে প্রকাশ করে। ৭ দিন সময় দিয়ে এর ওপর মতামত চাওয়া হয়। পরে আরো কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে মতামত দেন। মতামত দেওয়ার পরে বর্তমানে আইনটির কী অবস্থা, তা কেউ জানেন না। এমনকি বিএফইউজে– এর বর্তমান এবং সাবেক দুই নেতা কয়েকদিন আগে ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন– "প্রস্তাবিত আইনটিতে কী আছে তারা তারা জানেন না। তাদের খসড়াও দেয়া হয়নি। আর খসড়া চূড়ান্ত করার সময় তাদের সাথে আলোচনাও করা হয়নি। ফলে আইনটি সাংবাদিকদের জন্য ভালো না খারাপ হবে তা স্পষ্ট নয়।" [https://bit.ly/3NnhFhY]
এরই মধ্যে ২৮ মার্চ ২০২২ সোমবার রাতে 'গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল, ২০২২' শিরোনামে সংসদে উত্থাপন করা হলো। এবং উত্থাপনের পরপরই আইনটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য ৬০ দিন সময় দিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। অথচ ৬ বছর ধরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পরেই আইনটি সংসদে উঠেছিল।
এই আইনে অবশেষে গণমাধ্যমের পেশাজীবীদের 'গণমাধ্যম কর্মী' নামে একটা স্বতন্ত্র পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
বিলের ২(৪) ধারায় সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- "গণমাধ্যম কর্মী অর্থ গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্নকর্মে নিয়োজিত কর্মী"।
বিলের খসড়ায় কর্মরত সাংবাদিকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা ছিল– "সম্পাদক, প্রধান সম্পাদক, বার্তা প্রধান, নির্বাহী সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, বার্তা প্রযোজক, স্টাফ রাইটার, বার্তা সম্পাদক, সাব এডিটর, নিউজরুম এডিটর, সংবাদ প্রযোজক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, ডেস্ক ইন চার্জ, কপি হোল্ডার, কপি টেস্টার, সম্পাদনা সহকারী, কার্টুনিস্ট, আলোকচিত্রী, ক্যামেরাম্যান ইত্যাদি"।
প্রস্তাবিত বিলে অবশ্য কর্মরত সাংবাদিকের কোনো সংজ্ঞা উল্লিখিত হয়নি। সংজ্ঞা না লিখলেও এ বিষয়ে আবার বিধিবিধান আছে। বলা হয়েছে, "করণিক কাজে নিয়োগকৃত কোনো গণমাধ্যম কর্মীর শিক্ষানবিশকাল হইবে ২ (দুই) বৎসর এবং অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীর উক্ত সময়কাল হইবে ১ (এক) বৎসর"। কারা অন্যান্য কর্মী এবং কারা ক্লারিক্যাল কর্মী, তা উল্লেখ করা থাকলে ভাল হতো।
প্রস্তাবিত আইনে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বিধিবিধান এই আইনে যোগ করা হয়েছে, যা জরুরি ছিল। শ্রম আইনে 'বিশ্রাম ও আহারের' জন্য ১ ঘণ্টা বিরতিসহ সর্বমোট দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইনেও দৈনিক ৮ ঘণ্টা হিসেবে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজের নিয়ম রাখা হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের রেওয়াজ আছে, বাংলাদেশেও সরকারি কর্মচারিরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেন। গবেষণা বলছে, সাপ্তাহিক কাজের সময় সপ্তাহে ৩০–৩২ ঘণ্টা রাখা হলে কাজের ফল ভাল পাওয়া যায়। যে কারণে আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের সপ্তাহে তিনদিন ছুটি নিতে উৎসাহিত করছে।
অথচ গণমাধ্যম কর্মী আইনে 'সকল গণমাধ্যম কর্মীকে কোনো গণমাধ্যমে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টা কাজ করিতে হইবে' লেখা থেকে মনে হচ্ছে আইনটি করেছেন গণমাধ্যমের মালিকরা। অথচ আইনটি করা হচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য। শ্রম আইনে বলা হয়েছে– "প্রতি সপ্তাহে কারখানা ও শিল্পের ক্ষেত্রে একদিন এবং দোকান ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেড় দিন ছুটি পাইবেন (১০৩–এর ক)"। গণমাধ্যম আইনেও লেখা যেতো– গণমাধ্যম কর্মীরা সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন ছুটি পাবেন, তবে প্রতিষ্ঠান চাইলে তা দুই বা তিন দিন করতে পারবেন। কেননা অনেক গণমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সপ্তাহে দুইদিন ছুটি চালু আছে। যদিও আইনে অধিকতর সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে, কিন্তু আইনের বিভিন্ন ভাগের ভাষার প্রয়োগে আইনটিকে কর্মীবান্ধব বলে মনে হয়নি।
তবে স্বীকার করতেই হবে, আইনে আর্নড লিভ, ক্যাজুয়াল লিভ, মেডিক্যাল লিভ, ফেস্টিভ্যাল লিভ এবং ভাতাসহ শ্রান্তি বিনোদন ছুটির যে বিধান রাখা হয়েছে- এগুলোই বহু মিডিয়াতে এখনো নেই। হয়তো এগুলো আরেকটু বাড়ালে ভাল হবে, তবে কথায় আছে, নাই মামার চেয়ে কানা মামাও ভাল।
অবসরকালীন 'সুবিধা' এই আইনের একটা উল্লেখযোগ্য দিক। গণমাধ্যমকর্মীরা আমৃত্যু চাকরি করেন, এমনটাই দেখা গেছে। এই আইনে ৫৯ বছর বয়স হলে স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ রাখা হয়েছে। অবসরের সময় যতো বছর চাকরি করেছেন তত মাসের মূল বেতন পাবেন। অবসরের সময় এককালীন ভাতা অর্থাৎ আনুতোষিক প্রাপ্তি সাংবাদিকদের জন্য সুসংবাদ অবশ্যই। তবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই বা চাকরির অবসান এই আইনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে। ১২ নং অনুচ্ছেদের শিরোনাম- "ছাঁটাই ও ছাঁটাইকৃত গণমাধ্যম কর্মীর পুনঃনিয়োগ"। শিরোনামে থাকলেও ধারার মধ্যে পুনঃনিয়োগের অংশটি পুরোপুরি ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ যদি আগের অফিসে নতুন করে নিযুক্ত হন, তবে তাকে সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মীর মতোই সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। খসড়ায় থাকলেও প্রস্তাবিত বিলে এই অংশটি কেন ছাঁটাই হলো?
১২-এর (২) উপধারায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মীকে ছাঁটাই করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ মাসের বেতন এবং প্রত্যেক বছর চাকরির জন্য ১ মাস হারে মূল বেতন দিতে হবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বিদ্যমান শ্রম আইনে চার মাসের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। তবে ভাল দিক হলো- ছাঁটাই করার বিষয়টি সরকারকে লিখিতভাবে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে। এখানে ছাঁটাই করার আগেই অবহিত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হলে আরো ভাল হতো।
অন্যদিকে ১৫ নং ধারায় চাকরির অবসানের ক্ষেত্রে ৪ মাসের মূল বেতনের সমান ক্ষতিপূরণ বা ৪ মাসের নোটিশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সাথে প্রত্যেক বছর চাকরির জন্য ১ মাস হারে মূল বেতন দিতে হবে বলা হয়েছে।
১৯৭৪ সালের The Newspaper Employees (Condition of Service) Act 1974-এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সংবাদকর্মীদের জন্য একটি ওয়েজবোর্ড গঠন। আইন প্রণয়নের পর প্রায় ৩ বছর লেগে যায় ওয়েজবোর্ড গঠনে। সে সময় সংবাদকর্মীদের ২৭৫ টাকা ন্যূনতম মজুরি স্কেল নির্ধারণ করা হয়। প্রথম থেকেই ওয়েজবোর্ড হয়েছে সংবাদপত্র কর্মী আইনের অধীনে। তবে ২০০৬–এ আইন বাতিলের পর থেকে স্বাভাবিকভাবে আর ওয়েজবোর্ড হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীদেরকে আন্দোলন করে ওয়েজবোর্ড আদায় করতে হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মী আইনটি হয়তো চলতি বছর বা আগামী বছর পাস হবে। এই আইনে ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। সরকার ওয়েজ বোর্ড গঠন করতে পারবে, সরকার না চাইলে না-ও করতে পারে। সংবাদপত্রের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড হয়েছে ২০১৮ সালে। খসড়ায় ৫ বছর পর পর ওয়েজবোর্ড হওয়ার কথা লেখা থাকলেও বিলে এর জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। ওয়েজ বোর্ড না থাকলে বেতনকাঠামো কেমন হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে আবারও হয়তো ওয়েজ বোর্ড গঠনের জন্য সাংবাদিকদেরকে মাঠেই নামতে হবে।
গণমাধ্যম আইনটি বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের জন্য খসড়ায় একটা কমিটি গঠনের কথা আইনে বলা হয়েছিল, বিলে গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। ৩ সদস্যের আদালতে একজন কর্মরত জেলা জজ থাকবেন চেয়ারম্যান, মালিক এবং কর্মীদের প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য।
আইনে ন্যূনতম বেতনের চেয়ে কম বেতন দিলে এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আইনে ন্যূনতম বেতন বলে কোনো কিছু ঘোষিত নেই কিংবা ঘোষণা করার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। সরকার কি সাংবাদিকদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের দিকেই ঠেলে দিতে চাইছে?
শেষ কথা
আর্টিকেল নাইনটিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে গড়ে দেড় জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করা হয় [https://www.bbc.com/bengali/news-59806891]। অসুস্থ সাংবাদিককে হাতকড়া লাগিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখেছি। সাংবাদিকের পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি লাগিয়ে আদালতে নিয়ে যেতে দেখেছি। অথচ এখন পর্যন্ত বিচারের রায়ে সব সাংবাদিকই এসব মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অর্থাৎ একমাত্র হয়রানি করা ছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের আর কোনো কার্যকারিতা নেই।
সাংবাদিকের বেতন কম। চাকরির নিশ্চয়তা নেই। পদে পদে হয়রানি, জীবনের ঝুঁকি। এসব সত্ত্বেও গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করেন কেবল দায়িত্ববোধ থেকে। গণমাধ্যমকে বলা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক। অথচ গত ১৬ বছর ধরে এই পেশাজীবী মানুষদের পেশাটির স্বীকৃতিই নেই।
মুক্তিযুদ্ধে জনমত গঠনে বুদ্ধিজীবীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকার কথা কে না স্বীকার করবে?
মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার–আলবদর বাহিনীর ক্ষোভ তাই লক্ষ্যনীয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন– সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমেদ, এস এ মান্নান, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, শহীদ সাবের, আবুল বাশার, শিবসাধন চক্রবর্তী, চিশতী হেলালুর রহমান, মুহম্মদ আখতার, সেলিনা পারভীন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতে সাংবাদিকতা পেশার স্বীকৃতি কেড়ে নিয়েছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু গত ১৬ বছর ধরে সেই স্বীকৃতি এখনো পুনর্বহাল না হওয়া বিস্ময়কর। প্রয়োজনীয় সংশোধনী সাপেক্ষে অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মী আইন পাস হওয়া জরুরি।