Published : 20 Oct 2021, 01:58 AM
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বুকে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেল তাতে কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে নির্ভার, নিরব ও নির্লিপ্ত থাকা সম্ভব নয়।
কোরান অবমাননার কথিত অভিযোগে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে নানুয়া দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে হামলা হয় ১৩ অক্টোবর সকালে। এরপর বেলা ১১টার দিকে হামলা হয় শহরের চাঁন্দমনি কালী মন্দিরে।
দুর্গা পূজায় দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন দিনে '৭০টি পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে' বলে দাবি করেছে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। কুমিল্লার ঘটনার তিনদিন পরে ১৬ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরে জানান, এসবের বাইরে ৩০টি বাড়ি এবং ৫০টি দোকানেও ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। তিনি বলেন, "এর মধ্যে ১৩ অক্টোবর হাজীগঞ্জের লক্ষ্মীনারায়ণজি আখড়ায় আক্রমণ চলাকালে মানিক সাহা নামে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।"
অষ্টমীর দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ও নাপোড়া গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, "সেদিন শেখেরখীল সার্বজনীন মন্দির ধ্বংস করা হয়। হরি মন্দিরের সামনের সড়কে হিন্দুদের ২০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। শেখেরখীল সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। নাপোড়ায় সার্বজনীন কালীবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।" নাপোড়া বাজার থেকে কালীমন্দির পর্যন্ত সড়কে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলেও লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়। হামলায় শেখেরখীলে সুকুমার দাস, সমীর দেব, দুলাল দেব, জুয়েল শীল ও লিটন দেব এবং নাপোড়ায় জহর লাল দেব, রতন শিকদার, আশুতোষ দেব, অনুপম দেব, জগদীশ পাল ও বোটন দেব আহত হন বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এছাড়া বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার করুণাময়ী কালীবাড়ির সার্বজনীন পূজা কমিটির দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করে মন্দিরের তৈজসপত্র লুট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এসময় প্রদীপ দাস, রঞ্জিত দাস, সবিতা বালা আহত হন। এছাড়া শীলকূপে দাস পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডপ, কৈবল্য যুব সংঘ পূজামণ্ডপ ও শীলপাড়া পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে তথ্য দেওয়া হয়।
রংপুরের পীরগঞ্জে জেলেপাড়া জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গত ১৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে। সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মোট ৬৬টি পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। ৭টি টিনের বাড়ি, ৯টি ইটের তৈরি বাড়ি, ৪টি মাটির ঘর, ২টি দোকানসহ প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দোকান আগুনে পুড়েছে।
মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান অবমাননার কথিত অভিযোগে যে নৃশংস ঘটনা ঘটলো সে-ই কোরআন কী বলে আসুন তা দেখি একবার।
পরধর্ম সহিষ্ণুতা বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ' . . . তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমার'। – ১০৯ সূরা কাফিরুন: ৬
'তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বিশ্বাস করতো। তাহলে কি তুমি বিশ্বাসী হওয়ার জন্য মানুষের ওপর জবরদস্তি করবে?'- ১০ সূরা ইউনুস-৯৯
'হে মানুষ। আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে। যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারো'। – ৪৯,সূরা হুজুরাত : ১৩।
এবার হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর একটি বিখ্যাত হাদিসের উদ্ধৃতি দিই, 'যে তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে (নিজে) খায়, সে আমার উম্মত নহে।'
মুসলিম মাত্রই বিশ্বাস করেন রাসূল (সা.) এর উম্মত হওয়া ছাড়া মুমিন হওয়া সম্ভব নয়, বেহেস্তও তাদের জন্যে নয়। লক্ষ্য করুন হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুমিন মুসলিম হওয়ার একটি শর্তও বেঁধে দিয়েছেন। শর্তটি হচ্ছে প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হওয়া। তার সুখ-দুঃখের সাথী হওয়া এবং তাকে অভুক্ত রেখে নিজে না খাওয়া। এই হাদিসের দুটো অসাধারণ রূপ আছে। যার মাধ্যমে নবীয়ে করিম (সা.) এর দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি আদর্শের সুস্পষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায়।
একটি হচ্ছে সাম্য। সমাজে সম্পদের সুষম বণ্টন। একেবারে আমাদের দেশীয় স্লোগানের ভাষায় বলতে হয় 'কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না'। অর্থাৎ সমাজের এক শ্রেণির মানুষ যেনতেন প্রকারে অঢেল সম্পদের মালিক হবে আর অন্য শ্রেণির মানুষগুলো অভাব-দারিদ্র্যে মানবেতর জীবন পার করবে তা প্রকৃত ইসলাম, মৌলিক ইসলাম অনুমোদন করে না। সাম্যবাদী এ দৃষ্টিকোণ থেকেই ইসলাম ধর্মে জাকাত ফরজ করা হয়েছে। দান খয়রাতকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
এ হাদিসের দ্বিতীয় দিকটি হলো অসাম্প্রদায়িকতা। হাদিসটি যখন প্রথম বিবৃত হলো তখন আরবে মুসলিমরা ছিল সংখ্যালঘু। অর্থাৎ দুইটি মুসলিম পরিবারের আশেপাশে নিশ্চয়ই ছিল অমুসলিমদের বসত। এই পরিস্থিতিতে যখন মুসলিম প্রতিবেশী না বলে শুধু প্রতিবেশী বলা হয়, তখন তা এমনি এমনি বলা হয়নি। সঠিক অর্থে, দায়িত্ব নিয়ে বলা হয়েছে যে, প্রতিবেশী এখন যাই-ই হোক, মুসলিম বা অন্য কোনও ধর্মের , তাকেও অভুক্ত রাখা যাবে না।
যে প্রতিবেশীকে অভুক্ত না রাখার ব্যাপারেই হাদিস আছে তার ঘরে আগুন দেওয়া, তার উপাসনালয় ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়া, তার বাড়ি ও সম্পদ লুট করা এবং সেই প্রতিবেশীর নারীদের সম্ভ্রমহানি করা, খুন করা কতটা মুসলমানিত্বের মধ্যে পড়ে তা ভেবে দেখা প্রয়োজন।
অতএব বাংলাদেশে কেউ যদি ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেন, যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতার কথা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা বলেন, তিনি তখন ইসলামবিরোধী কিছু বলেন না। বরঞ্চ ইসলামের মূল স্পিরিটের কথা বলেন। মওদুদী বা জামায়াত-শিবিরের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। প্রকৃত ইসলামের সাথে এই দল বা এই দলের অনুসারীদের দূরতম সম্পর্কও নেই।
ইসলাম প্রচারের জন্যে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কখনো কোন ধরনের অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেননি। বরং স্বীয় মেধা, শ্রম, সততা, মানবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করে ধর্ম প্রচার করেছেন। কিন্তু আজকে জামায়াত-শিবির, হেফাজত বা অন্যান্য কট্টরবাদী দলগুলো ইসলামের নামে হত্যা-ধ্বংস-নিষ্ঠুরতাকে বেশি প্রচার করে এর মানবীয় সমস্ত গুণাবলীকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। তাদের আদর্শিক সংগঠন আল কায়েদা, আইএস বা বিশ্বব্যাপী ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর মতো।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা হয়েছে অনেকটা বাস-ট্রাক বা যানবাহনের মতো। আন্দোলনকারীরা যেমন কারণে অকারণে এদেশে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে গাড়িতে, তেমনিভাবে ইদানিং যে কোন আন্দোলন বা নির্বাচনী সহিংসতার বলি হচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে সামষ্টিক বা বিক্ষিপ্তভাবে এ পর্যন্ত অনেকবার সংখ্যালঘুরা যে কোন অজুহাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে আজ পর্যন্ত এমন হামলাকারী বা এমন দুষ্কৃতকারীদের কারো বিচার হয়নি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন কোন সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ এই স্বাধীন দেশেই গত ৫০ বছরে হিন্দুরা নানাভাবে নিগৃহীত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। কখনো রাষ্ট্রীয় মদদে, কখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়।
বিবিএসের করা বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মুসলিম জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৮৮ দশমিক ৪ ভাগ৷ হিন্দু এবং অন্য ধর্মাবলম্বী ১১ দশমিক ৬ ভাগ৷ ২০১১ সালের আদমশুমারীর হিসেবে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ৷
২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাবে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ৷ সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখের হিসাবে তাদের সংখ্যা ১ কোটি ৭৪ লাখ৷ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোট জনসংখ্যায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কমে যাওয়ার হারে আবারো ধীরগতি দেখা যায়৷ ১৯৭৪ সালের প্রথম আদমশুমারিতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার ছিলো ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ৷ ২০১১ সালে সেটি কমে আসে ৯ দশমিক ৬ শতাংশে৷ অর্থাৎ বাংলাদেশ আমলে ৩৭ বছরে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শতকরা হার কমেছে ৫ শতাংশ৷ ১৯৭৪ সালে এ সংখ্যা হয় ১ কোটি চার লাখ ৩৯ হাজার৷ ১৯১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, সেসময় পূর্ব বাংলায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার ছিল ৩১ শতাংশ৷ ১৯৪১ সালে ২৮ শতাংশ৷ অর্থাৎ ২০ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমেছে ৩ শতাংশ৷ তবে ১৯৪১ থেকে ১৯৭৪ সময় হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমে যায় প্রায় ১৫ শতাংশ৷ এর মধ্যে ১৯৪৭ সালে ভারত-ভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ বিভিন্ন কারণে হিন্দু-মুসলিম উভয়ের দেশান্তরী হওয়ার ঘটনা ছিল৷ ১৯৫১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, সেসময় পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৯৭ লাখ ৬ হাজার৷ ১৯৬১ সালের আদমশুমারিতে এ সংখ্যা ৯৯ লাখ ৫০ হাজার৷ ভারত-ভাগের পর ১৯৫১ সালে ৯৭ লাখ ৬ হাজার থেকে ২০১১ সালে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৮ লাখে৷ কিন্তু সংখ্যাগুরু মুসলিমদের তুলনায় এই হার কমেছে৷ এই কমে যাওয়ার পরিসংখ্যান শুধু পাকিস্তান আমলে কিংবা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরই যে দেখা যাচ্ছে, তেমন নয়৷ বরং ব্রিটিশ আমলেও এই অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক হার কমে যাওয়ার প্রবণতা ছিল৷ মুসলিমদের জন্মহার বেশি হওয়াকে এর কারণ হিসেবে দেখান কেউ কেউ৷
একবিংশ শতাব্দীর এই আধুনিক যুগে একজন মানুষ হিসেবে শুধু ধর্মের কারণে এক শ্রেণির মানুষকে সংখ্যালঘুুতে বিভাজন করে তাদের নির্যাতনে আমি বিপণ্ণ বোধ করি। অপমানিত বোধ করি। আমার ধারণা যে কোন বিবেকবান মানুষকে এই ঘটনা অপমানিত না করে পারে না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা পাহাড়সম উচ্চতায় উঠেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। পঁচাত্তরে তাকে হত্যার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে ক্রমাগত পেছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে জামায়াতসহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে। সৃষ্টি করা হয়েছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে অন্য ধর্মের মানুষের আত্মমর্যাদাকে হেয় ও অপমানিত করা হয়েছে।
কয়েকদিনের ঘটনায় মনে হয়েছে এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কোনো এক অপশক্তি কোথাও থেকে কলকাঠি নাড়ছে দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করতে। কিন্তু যে বা যারাই ঘটনা ঘটাক না কেন তা খতিয়ে দেখা, ক্ষতিগ্রস্তদের অভয় ও নিরাপত্তা দেওয়া এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে শাস্তির ব্যবস্থা তো সরকারকেই করতে হবে। মনে রাখতে হবে এ দেশের সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগের ওপরই ভরসা করে। কাজেই আওয়ামী লীগ এদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না। বিশ্বাসভঙ্গ করতে পারে না। আর ধর্মনিরপেক্ষ নীতি থেকে আওয়ামী লীগ সরে আসতে পারে না। যদি সরে যায় তাহলে তা হবে জাতির পিতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। দেশ মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতে পারে না।
দেশে কয়েকদিন ধরে যা ঘটেছে তাতে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। কিছু ক্ষতি তাৎক্ষণিক যেমন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছিল তাতে গত কয়েকদিনের ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর সুদূরপ্রসারী যে ক্ষতিটা হলো তা হচ্ছে, শেখ হাসিনার শাসনকালেও সংখ্যালঘুরা উৎপীড়িত হলো! শরীরে জখমের দাগ হয়ত একদিন শুকিয়ে যাবে, বাড়িঘর, মন্দির আবার নির্মিত হবে কিন্তু হৃদয়ের ক্ষত কখনো শুকাবে না ব্যথিতদের।