Published : 07 May 2020, 06:43 PM
পেশাগত কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেছি। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও রাজধানী লিমা সফর ছিল একেবারেই আলাদা। এক সপ্তাহের ওই সফরে মাত্র দুজন বাংলাদেশিকে পেয়েছিলাম। এদের একজন কিশোর কুমার দাস। যাকে নিয়ে আজ অনেক আলোচনা; যার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন' এখন বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রিয় প্রতিষ্ঠান।
সাড়ে চার বছর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে গিয়েছিলাম লিমায়, বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে। প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দলের সদস্য ছিলেন, বর্তমান পরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সেই সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ তারেকসহ আরও অনেকে। সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলাম আমি আর চ্যানেল আই-য়ের রিজভী নেওয়াজ।
লিমা সফর আমার কাছে আলাদা ছিল আরেকটি কারণে; সেটি হলো বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সম্মেলন চলাকালে বিশ্ব ব্যাংকের তখনকার প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। যার শিরোনাম ছিল 'বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিস্ময়কর: কৌশিক বসু'। সাক্ষাৎকারটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিলাম; সেটা ছিল আমার সাংবাদিকতা জীবনের অনেক পাওয়ার একটি।
যাইহোক, আমার আজকের এই লেখা বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের ওই সম্মেলন বা প্রতিনিধি দল নিয়ে নয়; কিশোর কুমার দাস ও তার 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন' নিয়ে। এতোদিন পর 'কিশোর'দাকে নিয়ে, তার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে লিখবো ভাবিনি। মানুষ নামের কিছু অমানুষ এই মহৎ ব্যক্তি ও 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন'কে নিয়ে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেওয়ায় বিবেকের তাড়নায় লেখাটি লিখছি…।
লিমায় যাওয়ার আগেই কিশোর'দার সঙ্গে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে কথা হয়েছিল। আমরা আসছি শুনে খুবই খুশি হয়েছিলেন। সত্যি কথা বলতে কি লিমায় যাওয়ার আগে আমি কিশোরদা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন' সম্পর্কেও কিছু জানতাম না। দুই দিনের জার্নি শেষে লিমায় গিয়ে হোটেলে উঠার আধা ঘন্টার মধ্যে কিশোরদা এসে হাজির। আমাকে আর রিজভীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন; বললেন, "এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে আসা আপনাদের পেলাম, কি যে ভালো লাগছে।"
তারপর যে কয়দিন আমরা পেরুতে ছিলাম প্রতি মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে ছিলেন কিশোর দা। একটা ভালো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। আমরা আসবো বলে আগেই ছুটি নিয়েছিলেন। আমি আর রিজভি বার বার অফিসের কথা বললে, বলতেন, "আরে রাখেন চাকরি…! চাকরি গেলে চাকরি পাওয়া যাবে, কিন্তু আপনাদের সময় দিতে না পারলে সারা জীবন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাবে।"
সত্যিই মজার মানুষ কিশোর কুমার দাস। আমি আমার জীবনে এমন ভালো মনের মানুষ খুব কমই দেখেছি। সারাক্ষণ হাসেন; একদম শিশুর মত মন। আমাদের পেরুর দর্শনীয় স্থানগুলো দেখিয়েছেন, মজার মজার খাবার খাইয়েছেন। আমার আর রিজভীর জন্য অদ্ভুত-সুন্দর-দারুণ কয়েকটা দিন ছিল ওই কয়দিন। যতোদিন বেঁচে থাকবো ততোদিন চোখের সামনে ভেসে থাকবে একজন খাঁটি মানুষ কিশোর কুমার দাসকে।
বিদেশে থেকে দেশের মানুষের প্রতি টান, ভালোবাসা, কিছু একটা করার আকুতি-এখন পর্যন্ত অন্য কারো মধ্যে দেখিনি আমি; যেমনটি দেখেছিলাম কিশোর'দার মধ্যে। আড্ডায়-আলোচনায় জানতে শুরু করলাম তাকে। একেবারে ছোট বেলা থেকে…। অভাবের সংসার, অনেক কষ্টের জীবন, পড়ালেখা, ভালোবেসে বিয়ে করা…কোনো কিছুই বাদ দিলেন না তিনি।
তারপর শুরু করলেন 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের' গল্প। শিক্ষা, খাদ্য, খুশি- ছোটবেলায় যে জিনিসগুলোর অভাব বোধ করেছেন সেগুলোই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উপহার দিতে চাইতেন কিশোর কুমার। পথশিশুদের জীবন থেকে ক্ষুধা এবং অনিশ্চয়তাকে দূর করতে চাইতেন সব সময়। আর সে তাড়না থেকেই ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্বেচ্ছাসেবী দাতা সংস্থা হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষাগত সাহায্যের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে বিদ্যানন্দকে নিয়ে পথচলা শুরু করেন কিশোর কুমার। ক্রমান্বয়ে সংস্থাটি পথশিশু এবং বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের খাবারের ব্যবস্থা করা শুরু করে।
তবে তখনো পথচলা অনেকটাই বাকি! যেহেতু বেশিরভাগ সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার কার্যক্রম ঢাকা কেন্দ্রিক, তাই বিদ্যানন্দকে ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দেন কিশোর। ২০১৪ সালে বিদ্যানন্দ প্রথম চট্টগ্রামে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সংস্থাটির মোট ১২টি শাখার মধ্যে ১১টিই ঢাকার বাইরে; যার মধ্যে ৭টি শাখার অবস্থান উত্তর বাংলা এবং পার্বত্য অঞ্চলে।
২০১৬ সালে বিদ্যানন্দ একেবারেই নতুন এক ধরনের খাদ্য কার্যক্রম 'এক টাকায় আহার' এর মাধ্যমে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে খাদ্য সরবরাহ শুরু করে। এছাড়াও বিদ্যানন্দের অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- 'রমজানে দুঃস্থ মানুষের পাশে', 'শীতবস্ত্র বিতরণ', 'শরণার্থীদের পাশে বিদ্যানন্দ', 'এক গ্লাস দুধ', 'এক টাকায় চিকিৎসা', 'ঈদবস্ত্র ও উপহার বিতরণ' ইত্যাদি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা রক্তদান কর্মসূচী- হাজারো স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে বিদ্যানন্দ সেখানে পৌঁছে যায় সবার আগে।
বিদ্যানন্দ কেন এমন কার্যক্রম পরিচালনা করছে? সংস্থাটির লক্ষ্য কী? তেমন বড় কিছুই নয়! বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাস চেয়েছিলেন তার কার্যক্রমের মাধ্যমে এমন একটি উদাহরণ তৈরি করতে যাতে করে বাকিরাও সমাজের ভালোর জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। নিজের মধ্যে তৈরি হওয়া আত্মোপলব্ধি এবং আত্মতৃপ্তি সবার ভেতরে ছড়িয়ে দিতে চান বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার।
বুধবারও মোবাইল ফোনে কথা হয় কিশোরদা'র সঙ্গে। বললেন, "খুবই খুশি আমি। আমার স্বপ্ন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিদ্যানন্দ এখন আর শুধু আমার প্রতিষ্ঠান নয়, ১৭ কোটি মানুষের প্রতিষ্ঠান। এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি থাকতে পারে।"
কিশোর'দা আরও বললেন, "সাধারণ মানুষ আমি, এটা আমার বিনয় না। চ্যারিটিতে বেশিরভাগ মানুষ সাধারণ, মিডিয়া তাদেরকে সুপার হিউম্যান হিসেবে প্রচার করে। এতে পুরো প্রতিষ্ঠানের বারোটা বাজে। লোভ ক্ষোভ সবই আমার আছে। আমি চ্যারিটিকে কিছুটা প্রসেসে এবং পেশাদারিত্বে করতে চেয়েছি। এটা আমাদের আয়ের উৎস নয়, তবুও নেশা। আবেগ নির্ভর এই কাজটি কতদিন চলবে জানি না, তবে শুদ্ধতা নিশ্চিত করে করতে চাই।"
এই হলো একজন কিশোর কুমার দাস ও তার প্রতিষ্ঠান 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের' গল্প। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর এই মহাসংকটে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে কয়েকটি কথা না বললে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনারতরী' কাব্যের 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ' লাইনটি বার বার মনের মধ্যে উকি দেবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন; নিয়েছে 'চলো, রুখে দিই কোভিড ১৯' উদ্যোগ। আগের সেই 'এক টাকায় আহার' কর্মসূচির মাধ্যমে অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে। সেই অর্থে পরিচালিত হচ্ছে 'এক টাকায় আহার' কর্মসূচি। আর এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড। বিদ্যানন্দের এই প্রকল্পের জন্য কাজ করে চলেছেন সংস্থাটির মোট ৯০টি স্বেচ্ছাসেবী দল। আর এই স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে ২৪ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত রয়েছেন। নিজেদের উৎসাহ এবং আত্মতৃপ্তির জন্যই বিদ্যানন্দের সাথে সহযোগিতা করেন তারা।
দেশের এই সংকটকালে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে পুরো শহরময় ছুটছে এর স্বেচ্ছাসেবীরা৷ সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায়ও ত্রাণ পাঠাচ্ছে।
যখন চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্সদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট ছিল তখন বিদ্যানন্দ নিজেদের বাসন্তী গার্মেন্টসে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট –পিপিই বানিয়েছে। সেই পিপিইগুলো বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
মসজিদ, হাসপাতাল, বাস, রেলস্টেশনের মতো জায়গাগুলো যেখানে জনসমাগম বেশি হয়, ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে, সেখানে জীবাণুনাশকও ছিটিয়েছে।
মানুষের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিতে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, গুলশান, শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বসিয়েছে অস্থায়ী হাত ধোয়ার বেসিন। সরবরাহ করা হয়েছে পানি ও সাবান। তৈরি করেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক; যা বিতরণ করা হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষদেরকে৷
পুরো রমজান মাসজুড়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন এলাকায় দুস্থ পরিবারগুলোকে ইফতার ও সেহেরি দিচ্ছে।
মানবিক এমন কর্মকাণ্ডে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রশংসা যখন দেশজুড়ে, তখন কিশোর কুমার দাসের পদত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয় কয়েকদিন আগে।
কবি নজরুল একসময় এদেশের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি দেখে অনেক তৃপ্তি নিয়ে লিখেছিলেন, 'মোরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান'। সেটা ভুলে গিয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং কিশোর কুমার দাসের নামের সঙ্গে ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা খুঁজেছেন উগ্রবাদী কিছু সংগঠন আর ফেইসবুক ইউজার। তারা একের পর এক কুরুচি ইঙ্গিতপূর্ণ সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন।
এ সব অমানুষের মন্তব্যে মনে খুবই আঘাত পেয়েছিলেন কিশোর'দা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন; সে কারণেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য সবার অনুরোধে তিনি তার সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। কিশোরদা আছেন বিদ্যানন্দের সঙ্গে; আছেন আমাদের সঙ্গে; আছেন বাংলাদেশের সঙ্গে।
দেশপ্রেম নিয়ে কিশোরদার একটি ঘটনা আমাকে অবাক করে দিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তখনকার গভর্নর আতিউর রহমান ২০১৫ সালের জন্য এশিয়ার শ্রেষ্ঠ গভর্নর নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের আর্থিক অঞ্চলভুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য লন্ডনভিত্তিক অর্থনৈতিক পত্রিকা ইউরো মানির ইমার্জিং মার্কেটের পক্ষ থেকে তাকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
আমার পরিষ্কার মনে আছে, আতিউর রহমান যখন পুরস্কারটি নিতে মঞ্চে গেলেন, তখন কিশোরদা তার ব্যাগ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বের করে আমাদের সবাইকে নিয়ে মঞ্চে গেলেন। বিশ্বের সব অর্থমন্ত্রী-গভর্নরদের সামনে লাল সবুজের পতাকা দিয়ে আমরা সবাই বরণ করে নিলাম আতিউর রহমানকে। এই হলো একজন কিশোর কুমার দাস।
ভারতীয় গায়ক কিশোর কুমারের শত শত গান শুধু ভারতবাসীকে নয় বাংলাদেশের মানুষেরও মন জয় করেছে; এখনও মন ছুঁয়ে যায়। আমাদের কিশোর কুমারও কম কিসে; তিনি জয় করেছেন মানবতাকে, ১৭ কোটি মানুষের ভালোবাসা। কিশোরদা তুমি 'বাংলাদেশের হৃদয়'। তোমাকে স্যালুট! থামবে না কোনো কিছুতে; কোনো ষড়যন্ত্রে; কোনো অমানুষের কথায়…!
সব সময় মনে রাখবে সুকান্তের এই কয়েকটি লাইন-
সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়ঃ
জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।