২০০১-২০০৬ মেয়াদের পরে বিএনপির পুনরায় সরকার গঠনের নানাবিধ কৌশল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বানচাল করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফলে এক-এগারোর সরকার এসেছিল, না আসেনি—সেটি অন্য তর্ক। কিন্তু কৌশল করে আবার বিএনপির ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়াটি আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই নস্যাৎ হয়েছিল।
Published : 02 Aug 2023, 07:41 PM
বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাঠের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আপত্তির জায়গা প্রধানত দুটি—১. বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীদের বিজয় এবং ২. আগের রাতে ভোট।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী হওয়াটা বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় অবৈধ না হলেও এটিকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করা হয়। কেননা এখানে নাগরিকের মতামতের কোনো প্রতিফলন নেই। একাধিক ব্যক্তির মধ্য থেকে তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বিরোধীপক্ষের মূল অভিযোগ এই নির্বাচনে ভোট হয়েছে ‘আগের রাতে’। অর্থাৎ দিনের বেলায় ভোট দিতে গিয়ে অনেক ভোটারই জানতে পেরেছেন যে তার ভোটটি দেয়া হয়ে গেছে। ফলে তখন বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয় যে, আগের রাতেই ব্যালট বাক্স অর্ধেক বা কোথাও কোথাও তার চেয়ে বেশি অংশ ভরে ফেলা হয়েছে। সেই থেকে ওই নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলেই বিরোধীদের তরফে ‘রাতের ভোট’ শব্দযুগল ব্যবহার করা হয়। যদিও সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
প্রশ্ন হলো, বিগত দুটি নির্বাচন নিয়ে বিরোধীপক্ষের যে আপত্তি, যে অভিযোগ, সেই অভিযোগের পুরোটা যদি সত্যিও হয়, তাহলে কি এর জন্য তাদেরও দায় নেই? অর্থাৎ বিরোধী দল শক্তিশালী হলে কি ক্ষমতাসীনরা যা খুশি করতে পারে? সেটি হোক ভোটকেন্দ্রে কিংবা জাতীয় সংসদে?
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলো, বিরোধী দল কীভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে? এটি কি রাতারাতি হয় নাকি দীর্ঘপ্রক্রিয়ায় হয়ে ওঠার বিষয়? বাংলাদেশের গত অর্ধ শতাব্দীর ইতিহাসে কখনো কি শক্তিশালী বিরোধী দল বলে কিছু ছিল? আমাদের রাজনীতি ও সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধিতার যে সংস্কৃতি—সেটিই বা কতটা পরিপক্ক? এইসব প্রশ্ন মাথায় রেখে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠের রাজনীতিতে শাসকদলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি যে কৌশলে এগোচ্ছে, তার পরিণতি কী হতে পারে এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই তাদের নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু—সেই প্রশ্নগুলোও জনপরিসরে এখন দারুণভাবে আলোচিত হচ্ছে।
একাডেমিশিয়ানরাও এই কথার সঙ্গে একমত যে, কেবল শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) পারে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা কী বলছে? বিগত নির্বাচনগুলোয় ইসির ভূমিকা কী ছিল? কোন প্রক্রিয়ায় এবং কারা নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক পদে আসীন হন? তারা কি দলীয় আনুগত্যের উর্ধ্বে থাকতে পারেন? সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন বলা হলেও কার্যত তারা কতটা স্বাধীন—সেটি কি এখনও একটি বিরাট প্রশ্ন নয়?
আরেকটি কথা বলা হয় যে, নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্বাধীনভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এটিরই বা বাস্তবতা কী? মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারাই মূলত রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যাদের পদোন্নতি, বদলি, পুরস্কার, শাস্তি সবই নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভর করছে। অতএব যখন তার উর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় বিশেষ কোনো দায়িত্ব বা অ্যাসাইনমেন্ট দেন, সেটি পালন না করে তার কোনো উপায় থাকে? এক্ষেত্রে তার নিরপেক্ষ থাকার কি কোনো সুযোগ আছে যদি তার ওপর এমন কোনো কাজ করারও আদেশ আসে যেটি তিনি করতে চান না বা তিনি নীতিবিরোধী বলে করেন? তিনি এর প্রতিবাদ করলে তার পরিণতি কী হবে?
দ্বিতীয়ত টাকা পয়সা, পদোন্নতি এবং ভালো জায়গায় বদলির লোভ এড়ানো কঠিন। তার চেয়ে কঠিন আদেশ অমান্য করে শাস্তির মুখোমুখি হওয়া। আরও বেশি কঠিন সুবিধা নিতে নিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা। আরেকটু দূরবর্তী চিন্তা করলে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের ফলে ভবিষ্যতে যাতে তাকে কোনো ধরনের জবাবদিহির মধ্যে পড়তে না হয়, সেজন্য বিদ্যমান সিস্টেম খারাপ হলেও তারা সেই সিস্টেম ধরে রাখতে চান। অতএব নির্বাচন কমিশনের অধীনে মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন কাজ করবে, বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় এটিও একটি কেতাবী কথা। তাহলে সমাধান কী? শক্তিশালী বিরোধী দল কি এই সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে কিংবা বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিরোধী দল কি সত্যিই শক্তিশালী হতে পারছে? যদি না পারে তাহলে গলদটা কোথায়?
বিএনপি কেন ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করলো? ২০১৮ সালে তাদের ভাষায় ‘রাতের ভোট’ তারা প্রতিহত করতে পারলো না কেন? তারা যে দাবি করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা যে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, সেটির প্রমাণ হয়েছে ২০১৮ সালে—তাহলে প্রশ্ন হলো, এটি কি সরকারের নির্বাচনী কৌশলের কাছে তাদের পরাজয় নয়?
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকারি দল নানারকম কৌশল করবে—এটিই তো স্বাভাবিক। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আছে। ২০০১-২০০৬ মেয়াদের পরে বিএনপির পুনরায় সরকার গঠনের নানাবিধ কৌশল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বানচাল করে দিয়েছিল। এটিই বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাফল্য। তাদের আন্দোলনের ফলে এক-এগারোর সরকার এসেছিল, না আসেনি—সেটি অন্য তর্ক। বাংলাদেশে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে একটি অরাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার যে ঘটনা ঘটেছিল, তাকেই এক-এগারোর সরকার বলা হয়। এক-এগারোর আগে ক্ষমতায় ছিল ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কার্যত যা ছিল কিছুদিন ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়া বিএনপি সরকারের বর্ধিত সংস্করণ। কিন্তু কৌশল করে আবার বিএনপির ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়াটি যে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই নস্যাৎ হয়েছে, সেটি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। তাহলে ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট না করে বিএনপি কেন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ভাষায় ‘সরকারের পাতানো নির্বাচন’ প্রতিহত করতে পারলো না? এই ব্যর্থতা কার? ২০১৮ সালে তাদের ভাষায় যে ‘রাতের ভোট’ হলো সেটিও কেন প্রতিহত করতে পারল না?
এই যে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকায় তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা মামলা-হামলাসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তাদের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়, সেজন্য তাদের নিজেদের কোনো দায় নেই? তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো, তখন যেসব অন্যায় করেছে, গণবিরোধী কাজ করেছে, তার কোনো দায় নেই? তারা কি নিজেদের দাবির সপক্ষে সত্যি সত্যিই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছে? তার দলের ভেতরে কোন্দল নেই? যার ঘর ঠিক নেই তারা বাহির সামলাবে কীভাবে?
অতএব বিএনপি তাদের আন্দোলন কতটুকু জমাতে পারছে বা পেরেছে তার চেয়ে বড় কথা, তাদের দাবির সপক্ষে জনমত কতটুকু রয়েছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দলমতনির্বিশেষে সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা। কিন্তু ভোটের উদ্দেশ্য কি শুধু ক্ষমতার পালাবদল ঘটানো?
বিএনপি এবার এক দফা দাবিতে অনড়। সেটি হলো সরকারের পদত্যাগ। কিন্তু তারপর কী হবে? বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে সরকারের পদত্যাগের পরে নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় কোনো সরকারের দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ নেই। এটি করতে হলে আগে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। যদি সংবিধান সংশোধন না হয় তাহলে ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নির্বাচন হবে। এখন প্রশ্ন হলো, দলীয় সরকার এবং নির্দলীয় সরকারের মাঝামাঝি এমন কোনো পদ্ধতি বের করা যায় কি না, যেটি সরকারি ও বিরোধী উভয় দলই মেনে নিতে পারবে? এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে কি কোনো আলোচনা চলছে? তারও চেয়ে বড় প্রশ্ন, বিরোধী দল যদি সত্যিই শক্তিশালী হতে পারে এবং তাদের সপক্ষে যদি জনমত থাকে, তাহলে সরকার বা সরকারি দল কি যা খুশি করতে পারবে? কিন্তু এটিও মনে রাখতে হবে যে, নির্বাচন প্রতিহত করার নামে যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি শুরু হয়, সেক্ষেত্রে জনমত তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে। আন্তর্জাতিক চাপ তো রয়েছেই। অতএব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলকে অত্যন্ত কৌশলে খেলতে হবে। খেলায় ফাউল করলেই লাল কার্ড।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমাদের সরকারগুলো বরাবরই নিজেদেরকে জনবান্ধব বলে দাবি করলেও তাদের অনেক কাজই গণবিরোধী। উন্নয়নের মোড়কে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণের দৃষ্টান্ত পৃথিবীর দেশে দেশে রয়েছে। আবার বিরোধিতার নামে জনগণের জানমাল ধ্বংসের রাজনীতিও হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই দুটি জিনিসেরই অবসান চায়। অর্থাৎ সরকারগুলো সত্যিই জনবান্ধব হবে; উন্নয়নকে জায়েজ করতে তারা জনগণকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না এবং বিপরীতে বিরোধী দলগুলোও সরকারের সত্যিকারের ভুলগুলো শোধরানোর ভূমিকা পালন করবে। সরকার যাতে গণবিরোধী কোনো নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য জনমত গঠন করে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সেটি প্রতিহত করবে, যে প্রতিহত করার ভাষাটি হবে মার্জিত, গঠনমূলক এবং অবশ্যই সহিংসতামুক্ত। কিন্তু এগুলো সবই কেতাবের কথা।
বছরের পর বছর ধরে আমাদের রাজনীতি যেভাবে পরিবারতন্ত্র, অশিক্ষা, টাকা-পয়সা এবং পেশিশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তাতে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথাগুলো এখনও ‘দিল্লি হনুজ দূর অস্ত’। কিন্তু তারপরও মানুষ আশায় বুক বেঁধে রাখে। তাদের সকল স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি ওই রাজনীতিবিদদেরই হাতে। রাজনীতি ভালো না হলে দেশ এগোয় না। আর রাজনীতি ভালো করতে হলে ভালো মানুষ দরকার। ভালো নিয়ত দরকার। এখন নিয়ত যদি হয় যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা কিংবা যে কোনো উপায়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া—তাহলে এর দ্বারা জনগণের ওই স্বপ্ন পূরণ আদৌ হবে কি না—সেটিই বিরাট প্রশ্ন।
তারও চেয়ে বড় প্রশ্ন, বিরোধী দল শক্তিশালী হলে কি দলীয় সরকারের অধীনেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে? এক কথায় তার উত্তর দেয় কঠিন। তবে এটি ঠিক যে, বিরোধী দল যদি সত্যিই শক্তিশালী হয় এবং জনমত যদি তাদের সঙ্গে থাকে, তাহলে তারা সরকার তথা ক্ষমতাসীন দলের ওপর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে পারে। বাধ্য করতে পারে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল যদি সেই চাপ আমলে না নেয় তাহলে রাজনীতি সংঘাতের দিকে যেতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, শুধু বিরোধী দলের আন্দোলন নয়, বরং প্রশাসনিক কাঠামো এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাটি ত্রুটিপূর্ণ হলে; নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে শুধু শক্তিশালী বিরোধী দলের পক্ষেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদায় করা সম্ভব নয়।
সুতরাং আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে দেশের অর্থনীতিতে যে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে; পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলে স্বপ্ন যে বাস্তবায়িত হয়েছে; করোনার অতিমারিতে উন্নত বিশ্বের অর্থনীতিও যেখানে ধসে পড়েছে, সেখানে ১৭ কোটি লোক নিয়ে ছোট্ট আয়তনের বাংলাদেশ যে মোটামুটি কোমর সোজা করে দাঁড়িয়ে আছে; দেশের কোথাও যে খাদ্যাভাব দেখা দেয়নি; মানুষের মাথাপিছু আয় ও ক্রয়ক্ষমতা যে বেড়েছে—এইসব সাফল্য অস্বীকারের সুযোগ নেই। পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও সাহস দেখিয়েছেন, তারই ধারাবাহিতায় তিনি যদি এখন দেশের প্রশাসনিক কাঠামো এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাটি সংস্কারে হাত দেন; দেশকে সতিই একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক চেহারা দেয়ার কাজটি শুরু করেন—তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। অর্থাৎ এমন একটি ব্যবস্থাই কাম্য যেখানে প্রতি পাঁচ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলকে মাঠে নামতে হবে না।