হামলার পর ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি রশীদ-ডালিম ফোন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে জানতে চায়, 'হাসিনা বাঁচল কী করে?' এ থেকেও বোঝা যায়, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার কুশিলবদের সাথে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া খুনিদেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল।
Published : 20 Aug 2022, 07:53 PM
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর আরেকটি রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায় সূচিত হয় ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে। ওইদিন প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড ছুঁড়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় জাতির পিতার কন্যা ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে, যিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর থেকে পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও তার দেহরক্ষী নিহত হন। নিহত হন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমানও। ঝরে পড়ে ২৪টি তাজা প্রাণ। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী এখনো দেহে বোমার স্প্লিন্টার বহন করছেন। স্প্লিন্টারের যন্ত্রণার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতেই ঘটনার দেড় বছর পর মারা যান ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।
ভয়ঙ্কর এই গ্রেনেড হামলার আগের পাঁচ বছরে শতাধিক লোক বোমা হামলায় নিহত হন। এমনকি বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপরও বোমা হামলা হয়েছিল। একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল সে বছরে প্রথম থেকেই সারা দেশে 'বোমা বিস্ফোরণ’ সিরিজের সর্বশেষ ঘটনা। এ ঘটনার কয়েক দিন আগে ৭ অগাস্ট সিলেটে বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের একজন স্থানীয় নেতা। তারই প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ২১ অগাস্ট।
সন্ত্রাসবিরোধী সে সভায় হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায় আশপাশের ভবনগুলোর ছাদ থেকে পর পর ১৩টি গ্রেনেড ছুঁড়ে যে ভয়াবহ 'কিলিং ফিল্ড' তৈরি করা হয়েছিল তা গণতন্ত্রের ইতিহাসেই নজিরবিহীন। এ প্রসঙ্গে ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হরকাতুল জিহাদ আক্রমণের জন্য ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে কাজ করেছিল সেদিন এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর হামলার গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মুফতি হান্নান জিজ্ঞাসাবাদে হাওয়া ভবনের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা অনেক বড় জায়গা থেকে এসেছে। তিনি কেবল তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন। এমনকি এ ঘটনার পরও ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট দেশের ৬৩ জেলা শহরে সিরিজ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। তৎকালীন সরকার এর কোনোটিরই সুবিচার করেনি, উল্টো বিচারের নামে ‘জজ মিয়া’ নামক প্রহসনের এক নাটক সাজিয়েছিল।
সেই প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, হামলার আগে ২০০৪ সালের অগাস্ট মাসে পরিকল্পনাকারী ও আক্রমণকারীরা একের পর এক সমন্বয় সভা করেছিল। এই সভা কখনো হাওয়া ভবনে হয়েছে, আবার কখনো হয়েছে বিএনপির তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায়। হাওয়া ভবনের সভায় হারিস চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, মুফতি হান্নান, জনৈক জামায়াত নেতা ও বঙ্গবন্ধুর এক খুনিও উপস্থিত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। হাওয়া ভবনের সভায় তারেক রহমান উপস্থিত ছিলেন বলেও প্রতিবেদনে ইঙ্গিত ছিল। তাছাড়া গ্রেনেড সরবরাহকারী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই ও হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে কিভাবে পাকিস্তানে পালিয়ে যান তারও উল্লেখ আছে সে প্রতিবেদনে।
এই বর্বর গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত মানুষ যখন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছিল তখন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে পুলিশ ব্যস্ত ছিল সভাস্থল থেকে হামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ অপসারণের কাজে। এ সম্পর্কে ৫ জানুয়ারি ২০১০ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায় জিজ্ঞাসাবাদে তৎকালীন আইজিপি শহুদুল হক বলেন, ‘সব কিছু করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে’।
এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মুখে শুধু 'dastardly attack' বলেই দায়িত্ব শেষ করেছিলেন। অপরাধী গ্রেপ্তার বা কোনও ধরনের তদন্ত এবং বিচারের ব্যাপারে তিনি ছিলেন একেবারেই নীরব। আরও হতাশার বিষয় হচ্ছে, হামলার সাথে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন বিভিন্ন সংস্থাকে। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছেন, তিনি সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। আমি দেখছি’! এছাড়াও সংসদে হাস্যরস করে তিনি মন্তব্য করেছিলেন: ‘কে তাকে (শেখ হাসিনা) হত্যা করতে চায়?’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে, ‘শেখ হাসিনা তার নিজের ভ্যানিটি ব্যাগে করে জনসভায় গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন।’
১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে কৌশলে বিভিন্ন নেতিবাচক কথা যেমন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তেমনই ২১ অগাস্টের ভয়াবহ হামলার পরও আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বিভিন্ন বক্তব্য দিতে থাকে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। নৃশংস এ হামলায় হাওয়া ভবনের শীর্ষ নেতা জড়িত থাকার পরও জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি তৎকালীন সরকারি দল বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের জন্যই নিজের লোকদের উপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ২০১২ সালে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২১ অগাস্টের হামলাটি ছিল একটি বিশাল ষড়যন্ত্রের অংশ। আর এ ষড়যন্ত্রটি জঙ্গিগোষ্ঠী হুজি, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি মিলে যৌথভাবে করেছিল। এবং এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন, ডিজিএফআই, এনএসআই এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাও যুক্ত ছিল। ফিল্ডে যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে। কারণ, তিনি এর আগেও একাধিকবার শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়া, ঠিক যেভাবে এর আগে ১৯৭৫-এ তার বাবা দেশের স্থপতিকেই সরিয়ে দেয়া হয়েছিল মহা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে।
ওই সময়ে ঘটনার মোড় অন্য দিকে প্রবাহিত করতে মতিঝিলের একজন পকেটমারকে অ্যারেস্ট করে তাকে দিয়ে সাজানো হয় ‘জজ মিয়া’ নাটক। কিন্তু ২০০৬ সালের অগাস্টে এই নাটকের পেছনের ঘটনা ফাঁস করে দেন জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন। এসবের পাশাপাশি তৎকালীন সরকার বিচারপতি জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশনকেও প্রভাবিত করে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, বিচারপতি জয়নুল আবেদিনের মাধ্যমে বলানো হয়েছিল, এ হামলার পেছনে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী নেই। সীমান্তের ওপারের শক্তিশালী দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে পলাতক সন্ত্রাসীদের দিয়ে এ হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। বানোয়াট এই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিচারপতি জয়নুল আবেদিনকে পরবর্তীতে অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল তৎকালীন সরকার।
জোট সরকারের যাবতীয় কূটকৌশল আর বোমা হামলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার সব তথ্য প্রমাণ গায়েব করে দেওয়ার অপচেষ্টার পরও ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আলোচিত এই মামলাটির রায় হয়। ভয়াবহ এই গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবনের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান, হারিস চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২১ অগাস্টের এই গ্রেনেড হামলার মূল উদ্দেশ্যই ছিল পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার ব্রত নিয়ে অগ্রসরমাণ তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। পঁচাত্তর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনের কিছু বিশেষ ঘটনার ওপর অনিসন্ধিৎসু মন নিয়ে দৃষ্টি প্রসারিত করলে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা মূলত ছিল ১৫ অগাস্ট সপরিবারে জাতির জনককে হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। এ দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয়, ঘটনা-উত্তর পরিস্থিতি এবং হত্যাকাণ্ডের ফলে সুবিধাভোগী বা প্রত্যাশিত সুবিধাভোগীদের পরিচয়ের ওপর নজর দিলে বোঝা যায় ১৫ অগাস্ট ও ২১ অগাস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের উদ্দেশ্যের মধ্যে কোনও পার্থক্য ছিল না। এছাড়াও ২০১১ সালের ১১ নভেম্বরে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, হামলার পর ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি রশীদ-ডালিম ফোন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে জানতে চায়, 'হাসিনা বাঁচল কী করে?' এ থেকেও বোঝা যায়, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার কুশীলবদের সাথে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া খুনিদেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল।
এছাড়াও দুইটি হত্যাকাণ্ডের ভেতরে মূল যোগসূত্র হচ্ছে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের ভেতরে অন্যতম প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ দলিলপত্র ভিত্তিক তথ্য প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে, ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে প্রধান ভূমিকা পালন করেন জিয়া। জিয়ার সহযোগিতা ছাড়া ওই হত্যাকাণ্ড ঘটতোই না। তেমনই ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্য নায়কদের প্রধান ছিলেন তারই পুত্র তারেক রহমান। এই দুটি ঘটনার প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি ও কিলিং মিশনে সরাসরি নিয়োজিত ব্যক্তিদের পরিচয় ভিন্ন হলেও আদর্শিক অবস্থান ছিল এক। ঘটনা বিশ্লেষণে আরও বোঝা যায়, একেবারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের কারণে, ২১ অগাস্টের কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া হত্যাকারীরা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও নির্ভীক ছিল। যার কারণে তারা প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত পুলিশের উপস্থিতিতে ও হাজার হাজার মানুষের ভেতরে ঢুকে প্রধান টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে মিস করলেও একের পর এক গ্রেনেড ছুঁড়ে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হয়। এই দুই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কেবল একটাই, ১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হলেও ২০০৪ সালে তা হয়নি।